ঢাকা

গোপালগঞ্জ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে দুদকের অভিযান

  প্রতিনিধি ৩ মার্চ ২০২৫ , ৭:৫০:১১ প্রিন্ট সংস্করণ

গোপালগঞ্জ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে দুদকের অভিযান

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় পরিত্যাক্ত খাদ্য গুদাম অপসারণের টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযানে প্রয়োজনীয় নথিপত্র যাচাই-বাছাইকালীন সময়ে অনিয়মের প্রাথমিক সত্যতা পায় দুদক।

সোমবার (৩ মার্চ) দুপুরে দুর্নীতি দমন কমিশন গোপালগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. মশিউর রহমানের নেতৃত্বে দুদকের একটি চৌকস দল এ অভিযান পরিচালনা করেন।

দুদকের গোপালগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মোঃ মশিউর রহমান জানান, গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার একটি পুরাতন খাদ্য গুদাম অপসারণের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেয় জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়। এতে আমিনুর এন্টারপ্রাইজ সহ ১৪টি প্রতিষ্ঠান দরপত্র দাখিল করেন। এর মধ্যে আমিনুর এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ৬ লক্ষ ১৯ হাজার টাকায় সর্বোচ্চ দরদাতা নির্বাচিত হয়। কিন্তু আমিনুর এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারীর স্বাক্ষর জাল করে টেন্ডার প্রত্যাহারের আবেদন জমা দেওয়া হয়। ফলে  জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় তাকে কাজ না দিয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরদাতা মো. আলভি ট্রেডার্সকে ১ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকায় কাজটি দেয়। এতে সরকারে প্রায় ৫ লক্ষ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় সর্বোচ্চ দরদাতা আমিনুর এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী দুদক কার্যালয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। এই অভিযোগের ভিত্তিত্বে সত্যতা যাচাইয়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, অভিযানে টেন্ডারের কাগজপত্রে আমিনুর এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারীর স্বাক্ষরের সাথে টেন্ডার প্রত্যাহারের আবেদনের স্বাক্ষরের কোন মিল নেই। অফিসের কর্মকর্তাদের যোগসাজসে অন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এ কাজটি করে থাকতে পারে বলে তিনি ধারনা করছে। তদন্ত শেষে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের জানিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। এসময় গোপালগঞ্জ দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক বিজন কুমার রায় ও সোহরাব হোসেন সোহেল সহ দুদকের অন্যান্য সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন। 

বিষয়টি এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন দুদক গোপালগঞ্জ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক বিজন কুমার রায়।

আরও খবর

Sponsered content