প্রতিনিধি ৮ জুলাই ২০২৪ , ৪:৩৭:২৪ প্রিন্ট সংস্করণ
চট্টগ্রামে গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে মতবিনিময় করেছেন সদ্য যোগ দেয়া চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার মো. সাইফুল ইসলাম। সোমবার (৮ জুলাই) সিএমপির হলরুমে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিহ হয়।
এ সময় নবনিযুক্ত পুলিশ কশিনার মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, দেশের অর্থনীতির প্রাণভোমরা চট্টগ্রাম। ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসারে স্থিতিশীল আইনশৃঙ্খলা অতীব জরুরী। শঙ্কামুক্ত স্বাভাবিক জীবনযাত্রা নিশ্চিত করা গেলে দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা বেগবান হবে। চট্টগ্রামের আইন শৃঙ্খলা স্বাভাবিক ও শান্তিপূর্ণ রাখাই হবে আমাদের প্রধান কাজ।
তিনি আরও বলেন, পুলিশের কাজ জানমালের নিরাপত্তা বিধান, অপরাধমূলক কর্মকান্ডের নিয়ন্ত্রণ, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, ডাকাতি, মাদক নিয়ন্ত্রনসহ সমাজের জন্য ক্ষতিকর প্রতিটি কর্মকান্ডই দমিয়ে রাখা পুলিশের প্রধান ও একমাত্র দায়িত্ব। কিন্তু সেখানে অন্যায়, অনিয়ম, দুর্নীতির মাধ্যমে পুলিশ যদি কাউকে অনৈতিক সুবিধা দেয়, তা হবে মারাত্মক অপরাধ। আমি কখনোই সে অপরাধমূলক কর্মকান্ড বরদাস্ত করবো না।
নবনিযুক্ত পুশির কমিশনার আরও বলেন, পুলিশের কাজে গাফিলতি থাকলে জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না। কোনো থানার ওসি আমার আত্মীয় নয়। কাজের অসঙ্গতি হলেই তাদেরকে জবাব দিতে হবে। কোনো প্রটোকল, গার্ড ছাড়াই বিভিন্ন থানাগুলোতে আমি পরিদর্শনে যাব। আমি দুষ্টু গরু রাখব না, শূন্য গোয়াল রাখব।
পরিবহনে চাঁদাবাজিসহ নানান অপরাধে পুলিশের যোগসাজশ থাকার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কোনো ব্যক্তির দায় সংস্থা নেবে না। এসবের বিরুদ্ধ আমরা জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করব।’
বিট পুলিশের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বিট পুলিশের কমিটিতে যারা থাকবো, তাদের সিডিএমএস যাচাই করা হবে। পুলিশের কাছে গিয়ে যেন কাউকে হয়রানির শিকার হতে না হয়, সেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
কমিশনার বলেন, আমি ভালো করেই চিনি। এখানে আমি আগেও কর্মরত ছিলাম। আপনারা আমাকে সহযোগিতা করবেন। সিএমপি আপনাদের সঙ্গে আছে। এখানকার অপরাধীরা আমার আত্মীয় নয়। সুতরাং তাদেরকে আইনের আওতায় আনা সময়ের ব্যাপার। সিএমপির দরজা সবার জন্য খোলা থাকবে।
এসময় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) আ স ম মাহাতাব উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) আবদুল মান্নান মিয়া, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মাসুদ আহাম্মদ, ডিসি সদর মোঃ আব্দুল ওয়ারীশসহ সিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।