প্রতিনিধি ১ মার্চ ২০২৫ , ৭:১২:৩০ প্রিন্ট সংস্করণ
বাংলাদেশে মুসলমানদের পবিত্র ইবাদতের মাস মাহে রমজান শুরুর একদিন আগেই চট্টগ্রামের শতাধিক গ্রামে একটি বিশেষ পীরের অনুসারীরা রোজা রাখা শুরু করে দিয়েছেন। সেই মোতাবেক তারা একদিন আগেই ঈদ-উল ফিতর উদযাপন করবেন। সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে বেশ কয়েকবছর ধরেই তারা এভাবে রোজা রাখা ও ঈদ উদযাপন করে আসছেন।
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে তারাবিহ আদায় ও সেহরি খেয়ে রোজা রাখছেন সাতকানিয়া, চন্দনাইশ, লোহাগাড়া, বাঁশখালী, বোয়ালখালী, আনোয়ারা, পটিয়া, কর্ণফুলী উপজেলার মির্জাখীল দরবার শরিফের অনুসারীরা।
মির্জারখীল দরবার সূত্রে জানা যায়, মির্জারখীল ছাড়াও উপজেলার সোনাকানিয়া, ছোটহাতিয়া, আছারতলি, সাইরতলি, গারাঙ্গিয়া, এওচিয়া, খাগরিয়া, ছদাহা, গাটিয়াডাঙ্গা এবং লোহাগাড়া উপজেলার কলাউজান, বড়হাতিয়া, পুটিবিলা, চরম্বা ও চুনতি, বাঁশখালী উপজেলার জালিয়াপাড়া, ছনুয়া, মক্ষিরচর, চাম্বল, শেখেরখীল, ডোংরা, তৈলারদ্বীপ ও কালিপুর পটিয়া উপজেলার হাইদগাঁও, বাহুলী, ভেল্লাপাড়াসহ ৫০ গ্রামের অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ শুক্রবার রাতে প্রথম তারাবাহী আদায় করেছেন এবং সেই সাথে রোজার সেহরি খেয়ে শনিবার রোজা রেখেছেন। এছাড়া চট্টগ্রামের হাটহাজারী, সন্দ্বীপ, ফটিকছড়ি, বান্দরবানের লামা, আলীকদম, নাইক্ষ্যংছড়ি, কক্সবাজার সদর, টেকনাফ, মহেশখালী, কুতুবদিয়ার বেশ কয়েকটি গ্রামে মির্জাখীল দরবার শরিফের অনুসারী রয়েছেন তারাও শুক্রবার রাতে সেহরি খেয়ে রোজা রাখবেন।
মির্জাখীল দরবারের মেজো সাহেবজাদা মোহাম্মদ মাছুদুর রহমান সরফরাজ বলেন, ‘প্রায় আড়াইশ বছর আগে সাতকানিয়া উপজেলার মির্জারখীল গ্রামে হজরত মাওলানা মোখলেছুর রহমান (রহ.) হানাফি মাজহাবের ফতোয়া অনুযায়ী পৃথিবীর যেকোনো দেশে চাঁদ দেখা গেলে রোজা, ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজহাসহ সব ধর্মীয় উৎসব পালন করার ফতোয়া দিয়েছেন। তারই ধারাবাহিকতায় অনুসারীরা একই নিয়মে সব ধর্মীয় উৎসব পালন করে আসছেন।’