প্রতিনিধি ১৮ আগস্ট ২০২৪ , ৩:৩০:৪২ প্রিন্ট সংস্করণ
জনসাধারণের অর্থে ও সরকারী সহায়তায় পরিচালিত চট্টগ্রামের বিশেষায়িত মা ও শিশু হাসপাতালে কর্মচারী ও নার্সের মধ্যে সম্প্রতি অসামাজিক কার্যকলাপের একটি ভিডিও প্রতিবেদকের হাতে এসেছে।
ভিডিও চিত্র পর্যালোচনা ও সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গত ১৩ জুলাই মঙ্গলবার সন্ধ্যা আনুমানিক সাতটা বিশ মিনিটের দিকে মা ও শিশু হাসপাতালের লিফট অপারেটর সাইফুল ইসলাম রিজু নতুন ভবনের তৃতীয় তলায় এন্ডোসকপি এবং খৎনা রুমের পাশের রুমে শিশু হাসপাতালে অনকোলজি ডিপার্টমেন্টে কর্মরত একজন নারী কর্মী নিয়ে অবৈধ শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়। পরবর্তীতে ঘটনাটি জানাজানি হলে অভিযুক্ত রিজু এবং ওই নারী দুজনেই ঘটনার কথা স্বীকার করেন।
সাইফুল ইসলাম রিজু লিফটম্যান হলেও বর্তমানে সে ক্লিনার সুপারভাইজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ফলে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কাজ তদারকির সুবাদে বিভিন্ন ফ্লোরে খালি রুম পেলেই তিনি অপকর্মে লিপ্ত হন বলে জানা গেছে। শুধু নারী ঘটিত অপরাধ নয়, এর আগে বিভিন্নজনকে চাকরী দেয়ার নাম করে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। কিন্তু হাসপাতালের দায়িত্বে থাকা বড় কর্তাদের সাথে সুসম্পর্কের কারণে তিনি ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে গেছেন সবসময়। হাসপাতালে কোনো দায়িত্ব পালন না করেই সাইফুল ইসলাম রিজু কেবল খবরদারিতে ব্যস্ত থাকনে। হাসপাতালের জেনারেল সেক্রেটারী রেজাউল করিম আজাদ এবং ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সৈয়দ মোরশেদ হোসেনের আর্শিবাদে তিনি বিশাল প্রতাপশালী হিসেবে বিচরণ করেন সর্বত্র। হাসপাতালের অলিখিতি গোয়েন্দা হিসেবেও তার সুখ্যাতি রয়েছেন বলে জানা গেছে।
চট্টগ্রামের এতবড় একটা হাসপাতালের অভ্যন্তরে অনৈতিক এবং অসামাজিক কার্যকলাপের প্রতিক্রিয়ায় হাসপাতালটির আজীবন সদস্যরা বলেন, হাসপাতালতো কোনো পতিতালয় নয়। এখানে যা হচ্ছে, তা কারো কাম্য নয়। অবিলম্বে দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। তবে যারা ব্যবস্থা নিবেন, তারাই এসব অপরাধীকে পৃষ্ঠপোষকতা করছেন, তাই অপরাধ প্রবণতা বেড়ে চলেছে।
এ বিষয়ে জানার জন্য হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সেক্রেটারীকে একাধিকবার ফোন করেও রেসপন্স পাওয়া যায়নি।