চট্টগ্রাম

জলাবদ্ধতায় বন্ধ চাকতাই খাতুনগঞ্জের ব্যবসা

  প্রতিনিধি ৫ আগস্ট ২০২৩ , ৭:০৯:১২ প্রিন্ট সংস্করণ

জলাবদ্ধতায় বন্ধ চাকতাই খাতুনগঞ্জের ব্যবসা

শুক্রবার সাপ্তাহিক বন্ধের পরদিন শনিবার সপ্তাহ শুরু হওয়ার দিনেই চাকতাই খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীদের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। হাঁটুসম পানি সড়ক ছাড়িয়ে ঢুকে গেছে দোকান ও গোডাউনে।

চাক্তাই এলাকার নয়া মসজিদ ও রাজাখালী এলাকায় কোথাও হাঁটু পরিমাণ, কোথাও কোমর সমান পানিতে ডুবে যায়। এসব এলাকায় অনেক দোকান ও গুদামে পানি ঢুকেছে। চাক্তাই ছাড়াও আসাদগঞ্জের মসজিদ গলি, কলা বাগিচা এলাকা পানিতে থৈ থৈ করছে। ফলে বাধ্য হয়েই বন্ধ রাখতে হয়েছে দোকানসহ সবধরণের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। চট্টগ্রাম তথা দেশের পাইকারি ব্যবসার প্রাণকেন্দ্র চাকতাই খাতুনগঞ্জ ব্যবসায়ীকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হলে সেটার প্রভাব পড়ে পুরো দেশের পণ্যসামগ্রীর ওপর।


ব্যবসায়ীদের দাবি, চাক্তাই খাল থেকে প্রয়োজনীয় মাটি দ্রুত উত্তোলন করতে হবে। একইসাথে চাক্তাই খালের মুখে নির্মিত স্লুইচ গেটগুলো যথাযথভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। নতুবা চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধান হবেনা।


সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, চাকতাই খাতুনগঞ্জের সরু সড়কগুলোতো হাঁটুসমপরিমাণ পানি। কোথাও কোথাও কোমর সমানও হবে। প্রতিটি দোকান গোডাউনের শাটার বন্ধ। ব্যবসায়ীরা চেষ্টা করেও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকা বন্ধ করতে ব্যর্থ। ফলে বন্ধ দোকানের সামনে কর্মকর্তা কর্মচারীদের মুখ কালো করে কোথাও কোথাও আড্ডা দিতে দেখা গেছে।

এই আধুনিক জগতেও এভাবে জলাবদ্ধতার জন্য ব্যবসা বন্ধ হওয়াকে ব্যবসায়ীরা কপালের লিখন হিসেবে দেখছেন। কারণ, সকল ধরনের ভ্যাট-ট্যাক্স, কর দিয়ে বিনিয়োগ করে ব্যবসা করতে গিয়ে ন্যুনতম সেবা যদি না পান, তাইলে ব্যবসা কিভাবে করবেন এখন সেটাই বড় প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে।

এদিকে চাক্তাই রাজাখালী রোডের পাশে অন্তত ৩০টি কলোনি রয়েছে। গতকাল সব কলোনিতে পানি প্রবেশ করায় নিম্নআয়ের এসব পরিবারে রান্না-বান্নাও বন্ধ ছিল। ব্যবসায়ীদের আহাজারির সাথে এখানে যুক্ত হয়েছে নিন্মআয়ের মানুষের
করুণ আর্তি।


চাক্তাই খাতুনগঞ্জ আড়তদার ও সাধারণ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ৫ ঘণ্টা পানিবন্দী ছিলেন তারা। দুপুর থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত পানি নামেনি। ৫টার পর ধীরে ধীরে নামতে শুরু করে। জোয়ারের পানি থেকে রক্ষা পেতে দোকান এবং গোডাউনের সামনে যে পাকা দেয়াল তুলেছে পানির উচ্চতা তার চেয়ে বেশি হয়েছে। যেকারণে খাতুনগঞ্জের দুই শতাধিক ব্যবসা
প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকেছে।

খাতুনগঞ্জ ট্রেড এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দ সগীর আহমদ বলেন, চাক্তাই খাল থেকে সময়মত মাটি না তুলায় খাতুনগঞ্জের কিছু অংশে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। শুধু খাতুনগঞ্জ নয়, মুরাদপুর, বহদ্দারহাট চকবাজার এবং আশপাশের যেসব এলাকার পানি চাক্তাই খাল দিয়ে নিষ্কাশন হয় সেসব এলাকাও জলমগ্ন হয়ে পড়ে। এ সমস্যা সমাধানে নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে চলমান মেগা প্রকল্পের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে। নইলে এ দুর্ভোগ কিছুতেই কমবে না।

আরও খবর

Sponsered content