বাংলাদেশ

জ্বালানি উপদেষ্টার অপসারণ দাবি

  প্রতিনিধি ২৪ অক্টোবর ২০২২ , ৭:১২:৫৮ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্কঃ

বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা বলেছেন, ‘সরকারের লুটেরা, কমিশনভোগী ও গোষ্ঠী স্বার্থে নেওয়া ভুলনীতি ও দুর্নীতির কারণে আজ বিদ্যুৎ খাতের এই মহা বিপর্যয়। এ দায় সরকারের। এ দায় জনগণ নেবে না। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সংকটের অন্যতম দায় জ্বালানি উপদেষ্টার। তাকে অপসারণ, ভুলনীতি ও দুর্নীতির জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে, বিদ্যুৎ সংকট নিয়ে কথার্বাতা নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকারই অপচেষ্টা।’

আজ সোমবার বেলা ১১টায় বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) কার্যালয়ে বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক, সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্সের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জোটের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সভায় এ কথা বলেন জোটের নেতারা। এ সময় বক্তব্য দেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজ, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য অধ্যাপক আব্দুস সাত্তার, বাসদের (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মাসুদ রানা, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির শহিদুল ইসলাম সবুজ, সিপিবির সহকারী সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের আব্দুল আলী প্রমুখ।

সভায় নিত্যপণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের ব্যর্থতার তীব্র সমালোচনা করে বলা হয়, ‘মুক্ত বাজারের নামে ব্যবসায়ীদের একচ্ছত্র আধিপত্য বজায় রেখে, তাদের কাছে অনুনয়-বিনয় করে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। দক্ষ ও দুর্নীতিমুক্তভাবে রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় নিত্যপণ্য আমদানি ও বিতরণ, দেশে উৎপাদিত পণ্যে কৃষকের লাভজনক দাম নিশ্চিত করে উৎপাদক সমবায় ও ক্রেতা সমবায় করে উৎপাদন বাড়ানো ও সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। এখনই গ্রাম-শহরে রেশনিং ও ন্যায্যমূল্যের দোকান চালু করতে হবে।’

সভায় দেশের বিভিন্ন স্থানে সভা-সমাবেশে বাধাদানের তীব্র সমালোচনা করে আগামী সংসদ নির্বাচন নির্দলীয় তদারকি সরকারের অধীনে সম্পন্ন করার জন্য ওই সরকারের রূপরেখা প্রণয়নের আলোচনা দ্রুত শুরু করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

সভায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়, উপকূলীয় অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ ধেয়ে আসছে। আগামীকাল মঙ্গলবার সকালে বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

সভায় উপকূলীয় অঞ্চলের জনগণের জান-মাল রক্ষায় কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানানো হয়। একইসঙ্গে ঘূর্ণিঝড়ের সময় উপকূলীয় জনগণের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বাম জোটের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

সভায় বাম জোটের ঘোষিত ১০ দফা দাবিতে ঢাকাসহ সারাদেশে পদযাত্রা, সভা-সমাবেশের কর্মসূচি চলমান আছে।

উল্লেখ্য, গতকাল রোববার রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে এক আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের রিজার্ভের যে অবস্থা, আমরা জানি না সামনে কী হবে। এলএনজি এখন আমরা আনছি না। ২৫ ডলার দাম ধরেও যদি এলএনজি আমদানি করতে যাই, চাহিদা মেটাতে অন্তত ছয় মাস কেনার মতো অবস্থা আছে কি না জানি না। আমাদের এখন সাশ্রয়ী হওয়া ছাড়া উপায় নেই। প্রয়োজনে দিনের বেলায় সবাইকে বিদ্যুৎ ব্যবহার বন্ধই করে দিতে হবে।’

আরও খবর

Sponsered content

Powered by