বাংলাদেশ

তিন বিদ্যুৎকেন্দ্রে ৩৯০ কোটি টাকার দুর্নীতি: টিআইবি

  প্রতিনিধি ১১ মে ২০২২ , ৬:৩৩:২৮ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্কঃ

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) দাবি করেছে, দেশের দুইটি কয়লাভিত্তিক ও একটি এলএনজিনির্ভর বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে ৩৯০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে।

আজ বুধবার (১১ মে) ‘বাংলাদেশে কয়লা ও এলএনজি বিদ্যুৎ প্রকল্প: সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছে টিআইবি।

সংস্থাটি দাবি করেছে, বিদ্যুৎকেন্দ্রের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একাংশের সাথে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, ভূমি অধিগ্রহণ শাখার কর্মকর্তা-কর্মচারী, মধ্যস্বত্ত্বভোগী, এমনকি ‘ডরপ’ নামের একটি এনজিওর কর্মীরাও এই টাকা নিজেদের মধ্যে বণ্টন করেছেন।

দুর্নীতি হওয়া বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো হলো- বরিশালে কয়লাভিত্তিক ৩৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র, বাঁশখালী এস এস ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র ও মাতারবাড়ীতে এলএনজিভিত্তিক ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র।

টিআইবি জানিয়েছে, ইতোমধ্যে বরিশাল বিদ্যুৎকেন্দ্রে ১৫ কোটি ৫৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা, বাঁশখালীতে ২৫৫ কোটি এবং মাতারবাড়ীতে ১১৯ কোটি ৪৫ লাখ টাকার দুর্নীতি হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।

টিআইবি সংবাদ সম্মেলনে প্রকল্প বাস্তবায়নের বিভিন্ন পর্যায়ে সংঘটিত দুর্নীতি তদন্ত করে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানায়।

সংস্থাটি এক প্রতিবেদনে বলেছে, বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো প্রয়োজনের অতিরিক্ত জমি অধিগ্রহণ করায় নির্মাণ ব্যয় বেড়েছে। এতে পিডিবিকে অতিরিক্ত দরে বিদ্যুৎ কিনতে হবে।

বরিশাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ৮১ একর জমি প্রয়োজন হলেও ৩১০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। একইভাবে বাঁশখালীতে ৩০৪ একরের জায়গা ৬৬০ একর এবং মাতারবাড়ীতে ৩৩ একরের জায়গায় ৩৮৮ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ৯৪২ একর অতিরিক্ত জমি উচ্ছেদ করে অধিগ্রহণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলে টিআইবি।

সংস্থাটির দাবি, এসব জমিতে কৃষি ও শস্য উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। যা ওই এলাকার দরিদ্র মানুষের জীবিকায় বিরূপ প্রভাব ফেলছে।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘দেশের বিদ্যুৎ খাত দেশি-বিদেশি দাতা ও বিনিয়োগ নির্ভর হয়ে পড়েছে। প্রকল্পগুলোতে তাদের প্রভাব অনেক বেশি। নবায়নযোগ্য জ্বালানির ঘোষণা আছে, কিন্তু বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেই।’

তিনি আরো বলেন, ‘কয়লা থেকে সরে এসে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে যাওয়া উচিত। জীবাশ্ম জ্বালানির কাছে আমরা এক ধরনের জিম্মি হয়ে গিয়েছি। এ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে যেতে হবে।

Powered by