প্রতিনিধি ৭ আগস্ট ২০২৪ , ৭:৫৯:৫৭ প্রিন্ট সংস্করণ
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে দীর্ঘ ১৬ বছর পর দীর্ঘ সময় ধরে কোন প্রকার বাঁধা মুক্ত আনন্দ মিছিল ও সমাবেশ করেছে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ ও ইসলামী ছাত্রশিবির মিরসরাই শাখা। এসময় উপস্থিত হাজারো নেতাকর্মীদের নারায়ে তাকবীরে প্রকম্পিত হয় ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক।
বুধবার ( ৭ আগষ্ট) বিকাল ৫ টায় ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের মিরসরাই সদরে এই বিজয় মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপজেলার বিভিন্ন ওয়ার্ড ইউনিয়ন ও পৌরসভা থেকে প্রায় কয়েক হাজার নেতা কর্মী স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করে। বিজয় রেলি শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সভাপতিত্ত্ব করেন জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ মিরসরাই শাখার সভাপতি : মাও: নুরুল কবির।
সমাবেশের প্রধান মেহমান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন , চট্টগ্রাম উত্তর জেলা জামায়াতের শুরা ও কমর্পরিষদ সদস্যৎঅধ্যক্ষ নুরুন্নবী, বিশেষ অতিথি ছিলেন , আলহাজ্ব নুরুল করিম, মিরসরাই উপজেলা সাবেক আমির, নুরুল হুদা হামিদী জোরারগঞ্জ থানা আমীর, মাঈন উদ্দিন রায়হান ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম উত্তর জেলা সেক্রেটারি, শিহাব উদ্দিন মিরসরাই পৌরস়ভা আমির, আবু তাহের শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন, মিরসরাই উপজেলা সভাপতি।
পরিচালনায়: মাঈন উদ্দিন ও আনোয়ারুল্লাহ আল মামুন। জামাত নেতা। সভাপতিত্ব করেন উপজেলা জামাতে আমীর মোঃ নুরুল কবির। এসময় বক্তব্য রাখেন
বক্তারা বলেন, খুনি হাসিনা সরকার গত ১৬ বছরে দেশটাকে গুম খুনের অন্ধকার জগত বানিয়ে গেছেন। পিলখানা হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে দেশের দেশের ৫৭ জন মেধাবী সেনা কর্মকর্তাদের হত্যা করেছে। যুদ্ধাপরাধের মিথ্যা তোকমা দিয়ে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতাদের একের পর এক জুড়িশিয়াল হত্যা করেছে। সর্বশেষ জামাত কেই তারা চিরতরে বাংলার মাটি থেকে মুছে ফেলতে আদালতের মাধ্যমে ফরমায়েশি রায় ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করেছে।
কিন্তু মহান আল্লাহর কি ফয়সালা তারা আজ তাদের ঘরবাড়ি ফেলে চোরের মত পালিয়ে গেছে। আল্লাহর বিচার আল্লাহ করেছেন আমরা প্রতিশোধ পরায়ণ নই। আমাদের নেতা কর্মীদের উপর জুলুম অত্যাচার করেছে নির্যাতন নিপীড়ন করেছে। আমরা আজ আরো সুসংগঠিত সুশৃঙ্খল ও পূর্বের চাইতে বহুগুণ বৃহত্তর সংগঠনে পরিণত হয়েছি। আমরা ঘোষনা করছি এই দেশের হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খ্রিস্টান সবাই সম্মিলিতভাবে একটি সুন্দর সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলবো।
ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের কোন প্রকার জুলুম নির্যাতন আমরা সহ্য করবো না। অতীতের তুলনায় তাদের অনেক বেশি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব। এ দেশে আর কোন জুলুম নির্যাতন চাঁদাবাজি চলবে না। যার যার ব্যবসায় বাণিজ্য কোন প্রকার চাঁদাবাজি কিংবা বাধা ছাড়াই নির্বিঘ্নে করবে। আমরা তাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করবো। বক্তাদের বক্তব্য শেষে মাগরীবের আজানের সাথেই সমাবেশ সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।