চট্টগ্রাম

দেবীদ্বারে মিথ্যা অপহরণ মামলায় হয়রানির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

  প্রতিনিধি ৯ মে ২০২৪ , ৮:১৩:৪০ প্রিন্ট সংস্করণ

দেবীদ্বারে মিথ্যা অপহরণ মামলায় হয়রানির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

দেবীদ্বারে মিথ্যা অপহরণ মামলায় হয়রানি করায় সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে সম্মানহানীর অভিযোগ এনে মাহফুজুর রহমান সবুজ নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভোক্তভোগী। বৃহস্পতিবার (৯ মে) বিকেলে কুমিল্লা দেবীদ্বার উপজেলার এলাহাবাদ ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর সেরাজুল হক কলেজ মাঠে মোটর চালক লীগ উপজেলা সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আজিজ খান ওই সম্মেলন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল আজিজ খান বলেন, মোবাইল ফোনে যশোর জেলার অশ্বিনী বিশ্বাস নামে হিন্দু ধর্মাবলম্বী এক যুবকের সাথে কুমিল্লার মৌসুমী আক্তার নামে মুসলিম এক যুবতীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। অশ্বিনী কুমার বিশ্বাস ওরফে মো. মিলন মিয়া (৩২) যশোর জেলার কোতয়ালী থানার ফতেপুর গ্রামের মন্টু বিশ্বাসের পুত্র এবং মৌসুমী আক্তার (২৫) কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার এলাহাবাদ ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের আব্দুল মজিদের কন্যা। হিন্দু যুবক অশ্বিনী বিশ্বাস হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে মুসলিম ধর্মগ্রহণ করে। মো. মিলন মিয়া নামে গ্রহণপূর্বক ওই মুসলিম যুবতী মৌসুমি আক্তারকে বিয়ে করেন।

প্রায় দু’বছর সংসার জীবন অতিবাহিত করার পর মৌসুমী আক্তার তার বাবার বাড়িতে চলে আসে এবং আর স্বামীর কাছে যাবেনা বলে তার স্বামীকে জানিয়ে দেয়। এ ঘটনায় গৃহবধূ মৌসুমী আক্তারের প্রতিবেশী শ্রীপুর গ্রামের আবুল কাসেমের পুত্র মাহফুজুর রহমান সবুজ মিলন মিয়াকে দিয়ে তার স্ত্রী অপহরণ এবং ২ লক্ষ ১৩ হাজার টাকা চাঁদা আদায়ের অভিযোগে স্ত্রী, শ্বশুর, ভায়রাভাই ও প্রতিবেশী আব্দুল আজিজ খানকে চাচা পরিচয়ে ৪ জনকে অভিযুক্ত থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেন। ওই ঘটনায় দেবীদ্বার থানা পুলিশ তদন্তস্বাপেক্ষে ওই অপহরণের ঘটনার কোন সত্যতা খুঁজে পায়নি।

সংবাদ সম্মেলনে মিলন মিয়া জানান, আমি আজিজ খান নামে কাউকে চিনিনিা, সবুজের সাথে আজিজ খানের পূর্ববিরোধ ছিল। আমাকে বাদী করে থানায় দায়ের করা অভিযোগপত্রে আজিজ খানকে চাচা পরিচয়ে এবং ২ লক্ষ ১৩ হাজার টাকা চাঁদা আদায়ের অভিযোগ করা হয়েছে, যা ছিল সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সবুজ জানায় আজিজ খানের সাথে আমার পূর্ব বিরোধ রয়েছে সত্য এবং আজিজ খানই আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে হয়রানি করেছে। অপহরণ মামলা করেছে মিলন মিয়া অথচ আমাকে জড়ানো উদ্দেশ্য প্রণোদিত।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, আব্দুল মজিদ মিয়া, মো. আব্দুল কুদ্দুস, আমির হোসেন, তাজুল ইসলাম,মোঃ শিপন প্রমূখ। স্থানীয় এলাহাবাদ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, স্বামী- স্ত্রীর বিরোধ ছিল, তা নিষ্পত্তি করে দিয়েছি। তবে আব্দুল আজিজ খানের বিরুদ্ধে অপহরণ ও ২ লক্ষ ১৩ হাজার টাকা চাঁদা আদায়ের অভিযোগটি ছিল সম্পূর্ণ মিথ্যা।

এ ব্যাপারে দেবীদ্বার থানার সাবেক সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সাদ্দাম হোসেন জানান, অপহরণের অভিযোগের বিষয়টি তদন্তে কোন সত্যতা পাওয়া যায়নি।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by