বাংলাদেশ

নতুন প্রজন্ম সন্ত্রাস চায় না, শান্তি চায় : শেখ পরশ

  প্রতিনিধি ১২ নভেম্বর ২০২৩ , ৭:০২:২১ প্রিন্ট সংস্করণ

নতুন প্রজন্ম সন্ত্রাস চায় না, শান্তি চায় : শেখ পরশ

যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেছেন, এদেশের নতুন প্রজন্ম সন্ত্রাস চায় না, শান্তি চায়। ব্যবসায়ীরা শান্তি চায়। বিএনপি-জামায়াত এদেশে শান্তি চায় না, তারা চিহ্নিত করে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান পুলিশকে হত্যা করেছে। তারা জনগণের ওপর অত্যাচার-নিপীড়ন চালাচ্ছে। কারণ তারা এদেশের মানুষকে শত্রুভাবে।

বিএনপি-জামায়াত অবরোধের প্রতিবাদে আওয়ামী যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের অন্তর্গত সংসদীয় আসন ভিত্তিক অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি এ কথা বলেন। রোববার (১২ নভেম্বর) বায়তুল মোকাররম দক্ষিণ গেটে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

পরশ বলেন, শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ এমন হবে যে, বাংলাদেশে সবকিছু সহজ হয়ে যাবে, সব কার্যকলাপ সহজ হয়ে যাবে। ঘরে বসেই অনেক কাজ আপনারা করতে পারবেন।

তিনি আরো বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী র‌্যালি ও উন্নয়ন শোভাযাত্রার মাধ্যমে সারা দেশে একটি বার্তা পৌঁছে গেছে। বিশেষ করে বিরোধী নেতারা যারা নৈরাজ্য ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের মাধ্যমে জনগণকে শাসন-শোষণ করে, ভয়-ভীতি দেখিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার অপচেষ্টায় ছিল তারা ইঁদুরের গর্ত থেকে বের হয়ে গতকালকেও বেশ কয়েকটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ঘটিয়েছে। তাদের কৌশল পাকিস্তানি আমলের কৌশলের মতো। পরাজিত শত্রুদের কৌশল এরকম গোপনীয় কৌশলই হয়ে থাকে। বিশ্বের অন্যান্য সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীদের কোনো অমিল নেই। মানুষের সামনে আসার তাদের মানসিক শক্তি নেই, তাদের কোনো কৃতিত্ব নেই, তাই তারা গোপনীয়ভাবে মানুষের ক্ষতি করছে। 

তিনি যুবলীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা দেখেছেন বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা সন্ধ্যার পরে গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করছে। যখন যুবলীগের নেতা-কর্মীরা ঘরে ফিরছে তারপর থেকেই তারা তাদের সন্ত্রাসী কার্যক্রম শুরু করছে। তাই আমরাও আমাদের কর্মসূচি ভিন্নতা আনতে চাই। 

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বর্তমানে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তায় রয়েছে। যেখানে উন্নয়নের অগ্রযাত্রা, যেখানে মানুষের মৌলিক চাহিদা নিশ্চিত হচ্ছে, যেখানে একটি উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছে, সেখানে এই সব সন্ত্রাসী জঙ্গি কায়দায় এই ধরনের অপরাজনীতি, এই ধরনের সন্ত্রাসী কার্যকলাপের মাধ্যমে তারা এদেশের জনগণ থেকে আরও দূরে সরে গিয়ে একেবারে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে সন্ত্রাসী সংগঠনে রূপ নিচ্ছে। তাদের চিকিৎসা কি? তাদের চিকিৎসা একটাই তাদেরকে অবৈধ ও নিষিদ্ধ ঘোষণা করা। কারণ সন্ত্রাসকে আমরা প্রশ্রয় দিতে পারি না, সন্ত্রাসকে এদেশের জনগণও প্রশ্রয় দেবে না।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by