প্রতিনিধি ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১ , ১:৪৭:৫০ প্রিন্ট সংস্করণ
বীর চট্টলার নামটির সঙ্গে ঐতিহাসিক লালদিঘীর ময়দানটি মিশে আছে ইতিহাসের অংশ হয়ে। দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ঐতিহাসিক ছয় দফার ঘোষণা এই মাঠেই দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। একইভাবে স্বৈরাচার বিরোধী নানা আন্দোলন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সভা-সমাবেশে হাজার হাজার নেতাকর্মীদের উপস্থিতে মুখরিত থাকত ঐতিহাসিক এই ময়দানটি।
কিন্তু মাইক্রোস্ট্যান্ডের মাধ্যমে অবৈধভাবে দখল ও সংস্কারের অভাবে দীর্ঘদিন ধরে লালদিঘী ময়দান হারাতে বসেছিল তার ঐতিহাসিক ঐতিহ্য। তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে মুজিববর্ষ সামনে রেখে মাঠটি নববরূপে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। সেই সঙ্গে মাঠটিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক সমাবেশ কিংবা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের কথা মাথায় রেখে করা হয়েছে ছয় দফা মুক্তমঞ্চ। এ ছাড়া বালুময় মাঠে বসানো হয়েছে সবুজ ঘাস। সাধারণ মানুষের হাঁটাচলার জন্য করা হয়েছে ওয়াকওয়ে।
ময়দানটিতে যাতে শত বছরের পুরনো জব্বারের বলী খেলা ও বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা খেলাধুলার সুযোগ পায় সে ব্যাপারে দাবি জানিয়েছেন জব্বারের বলী খেলার উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক শওকত আনোয়ার বাদল।
বলী খেলার মেলাসহ সব খেলাধুলা এই মাঠে অনুষ্ঠিত হবে উল্লেখ করে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, দখল হওয়া থেকে বাঁচাতেই ময়দানটিকে নবরূপে সাজিয়ে তোলা হয়েছে।
১৯৫৩ সালে নানা রাষ্ট্রীয়, সভা, সমাবেশের অনুষ্ঠানস্থল হিসেবে যাত্রা শুরু হয়েছিল লালদিঘী ময়দানের। বর্তমানে এই ময়দানটি মুসলিম হাইস্কুলের তত্ত্বাবধানে রয়েছে।