চট্টগ্রাম

প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন সৈকতের বালিয়াডিতে রাত কাটাবেন পর্যটকরা

  প্রতিনিধি ২৬ ডিসেম্বর ২০২০ , ৪:০৪:৪৯ প্রিন্ট সংস্করণ

বি এম হাবিব উল্লাহ, কক্সবাজার:

টেকনাফ সেন্টমার্টিন প্রবালদ্বীপে পর্যটক সমাগম বেড়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লোকজন পরিবার পরিজন নিয়ে ছুটছেন সেন্টমার্টিনে। আর সেখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে পর্যটকদের।বিষয়টি নিশ্চিত করে সেন্টমার্টিন হোটেল-মোটেল ও কটেজ মালিক সমিতির নের্তবৃন্দ বলেন, ডিসেম্বর মাসে বেশি পর্যটক আসে সেন্টমার্টিনে। তবে করোনা মহামারির কারণে এ বছর একটু পর্যটক সমাগম কম। বিজয় দিবসের ছুটিতে হঠাৎ করে দ্বীপে পর্যটকের আনা গোনা বেড়ে যায়।

এখন কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন ও টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে পর্যটকবাহী ৬টি জাহাজ চলাচল করছে। কোনোটিতে আসন খালি থাকছে না।এসব জাহাজ প্রতিদিন তিন হাজার পর্যটক নিয়ে দ্বীপে ভ্রমণে আসতে পারে। এখানকার শতাধিক হোটেল-মোটেল ও কটেজে মোটামুটি ভালোই সাড়া পাওয়া যাচ্ছে বলে জানা গেছে। প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন নামটি পর্যটকদের কাছে অসাধারণ সুন্দরের হাতছানি। ৮ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের দ্বীপটি অনেকের কাছে পরিচিত নারকেল জিঞ্জিরা নামেও।

দ্বীপের নৈসর্গিক সৌন্দর্য অবলোকনে প্রতিদিন অন্তত ১০ হাজার পর্যটক সেন্টমার্টিন ভ্রমণে যান। এ কারণে দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনের অপার সৌন্দর্য হাতছানি দেয় পর্যটকদের। সেন্টমার্টিন আসা পর্যটক শিক্ষক সিজি ত্রিপুরা মৌ বলেন, মেয়ের আবদার পূরণে এবার সেন্টমার্টিন ভ্রমণে আসছি। কক্সবাজার থেকে সাগর পথে সেন্টমার্টিন যাত্রা সেই অনুভূতিই অন্যরকম। প্রকৃতির অসাধারণ রূপ দেখা যায় এখানে। সেন্টমার্টিনের সৌন্দর্য বলা অপেক্ষা রাখে না।

সি-ট্রাক থেকে নেমে পায়ে-হেঁটে জেটি দিয়ে দ্বীপে ওঠার অনুভূতি আমার কাছে অন্য রকম লেগেছে বলে মনে করেন মৌ। পর্যটক মারুফুন্নবী বিপ্লব বলেন, সেন্টমার্টিন ভ্রমণের অভিজ্ঞতা অসাধারণ। মনে হয় সেন্টমার্টিন গেলেই প্রকৃতির খুব কাছাকাছি যাওয়া যায় এবং দ্বীপের নীল জলরাশি প্রাণ ছুঁয়ে যায়।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আলহাজ নুর আহমদ বলেন, বিজয় দিবসের ছুটিতে দ্বীপে বেশি পর্যটক আসা শুরু করেছে। লকডাউন পরবর্তী পর্যটন মৌসুম এবং সরকারি ছুটিকে স্মৃতিময় করতে পর্যটকরা আগামী শনিবার ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রবাল দ্বীপে অবস্থান করবেন। অনেক পর্যটক হোটেল-কটেজে জায়গা না পেয়ে ইতোমধ্যে তাঁবু ভাড়া নিয়েছেন। তারা নিকটজনদের নিয়ে সৈকতের বালিয়াডিতে রাত কাটাবেন।

সেন্টমার্টিন পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মুস্তাকিম হোসাইন বলেন, দ্বীপে পর্যটকদের নিরাপত্তা নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা এবং নিরাপদ ভ্রমণ নিশ্চিত করতে জেলা পুলিশ এবং টুরিস্ট পুলিশ যৌথভাবে কাজ করছে। সম্প্রতি পর্যটক সমাগম বেড়ে যাওয়ায় দিনে এবং রাতে টহল আরও বাড়ানো হয়েছে।

আরও খবর

Sponsered content