প্রতিনিধি ৬ জুন ২০২১ , ৫:৫৯:১৯ প্রিন্ট সংস্করণ
করোনা মহামারির মধ্যেই শুক্রবার যুক্তরাজ্যের লন্ডনে জড়ো হন গ্রুপ সেভেন বা জি-সেভেনভুক্ত দেশগুলোর শীর্ষ নেতারা। এবারের সম্মেলনের উদ্দেশ্য ছিল মহামারি কাটিয়ে বিশ্ব অর্থনীতিকে চাঙ্গা করা।
দুই দিনের সম্মেলনের শেষ দিন শনিবার বহুজাতিক প্রযুক্তি জায়ান্টদের বিশ্বজুড়ে ন্যূনতম করের আওতায় আনতে একমত হয় সদস্য দেশগুলো। বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর ওপর বিশ্বের সর্বত্র ন্যূনতম ১৫ শতাংশ করপোরেট কর নির্ধারণের লক্ষ্যে একটি চুক্তিতেও পোঁছায় জি–৭ এর সদস্যদেশ যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, কানাডা, ইতালি ও জাপান।
এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে আমাজন ও গুগলের মতো কোম্পানিগুলো নতুন এই করের আওতায় আসবে। কোম্পানিগুলো যেসব দেশে ব্যবসা করে, সেসব দেশে যাতে তারা কর দিতে বাধ্য হয়, সেই পথ তৈরির কথাও বলা হয়েছে এই চুক্তিতে। চুক্তিটি কার্যকর হলে এসব দেশের সরকারের হাতে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার অর্থ আসতে পারে। যা দিয়ে তারা মহামারি মোকাবিলায় ব্যয় সংকুলানের নতুন পথ পাবে।
একে ঐতিহাসিক চুক্তি হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন মার্কিন অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন। তিনি বলেন, করোনা মহামারির কারণে ধুকতে থাকা বিশ্বের বিভিন্ন দেশ তাদের অর্থনীতি চাঙ্গা করতে পারবে। বৈশ্বিক অর্থনীতিও ঘুরে দাঁড়াবে বলেও মনে করেন তিনি।
আর ব্রিটিশ অর্থমন্ত্রী রিশি সুনাক বলেছেন, সবার জন্য যেন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হয়। এমন ভাবেই চুক্তিটি করা হয়েছে।
কয়েক বছরের আলোচনার পর জি–৭ অর্থমন্ত্রীরা একটি ঐতিহাসিক চুক্তিতে উপনীত হয়েছেন। যাতে বৈশ্বিক ট্যাক্স ব্যবস্থা ডিজিটাল বিশ্বের এই যুগের উপযোগী হয়ে ওঠে। এটি সবার জন্যই একটা ভালো সুযোগ তৈরি করবে। এই পদক্ষেপে একমত হওয়ার জন্য জি-সেভেনভুক্ত দেশগুলোকে আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
বিশ্বজুড়ে ব্যবসায়িক কার্যক্রম চালিয়ে আসা বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর ওপর কর আরোপ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে নানাধরণের চ্যালেঞ্জের মুখে ছিল দেশগুলো। আমাজন ও ফেসবুকের মতো প্রযুক্তি করপোরেশনগুলোর বিস্তৃতিতে এই চ্যালেঞ্জে আরও বাড়ে। আগামী জুলাইয়ে জি-টুয়েন্টি জোটের অর্থমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরদের বৈঠকে এই চুক্তি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।