যারা বঙ্গবন্ধুকে অস্বীকার করে তাদের রাজনীতি চিরতরে বন্ধ করা দরকার বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত ও বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, শুধু সেনা জোয়ানদের মাধ্যমে ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড হয়নি। এর জন্য স্বাধীনতা বিরোধীদের দীর্ঘদিনের প্রস্তুতি ছিল। দেশি-বিদেশি কারা এর পেছনে মদদ দিয়েছে তাদের মুখোশ জনগণের সামনে আনতে হবে। একুশ বছরের ইতিহাস বিকৃতি এখনো আমাদের ভোগাচ্ছে। একটি কমিশন গঠন করে এই সবকিছুর সত্যতা উন্মোচন করা জাতির স্বার্থেই দরকার। এই সত্য এখনই প্রকাশ করা না হলে পরে আর শুদ্ধ করা সম্ভব হবে না।
অনুষ্ঠানে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, চক্রান্ত না হলে এই হত্যাকাণ্ড হতো না। কারণ শুধু সামরিক বাহিনীর ক্ষেত্রে এই কাজ করা সম্ভব না। তার হত্যার বিচার পেলেও এর পেছনে করা জড়িত ছিল এদের মুখোশ উন্মোচন করতে হবে। একটি জাতি রাষ্ট্রের জন্ম দিয়েছিলেন দেখেই তিনি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ সমার্থক শব্দ। তিনি বেঁচে থাকেন বাংলাদেশ উন্নত দেশে রূপান্তর হতো।
প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, শুধু ক্ষমতার পরিবর্তনের জন্য বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়নি। যুদ্ধে পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতেই হত্যাকাণ্ড। এর মাধ্যমে তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে হত্যা করেছেন। পরবর্তীতে যারা ক্ষমতায় এসেছেন, তারা এই হত্যার সঙ্গে যুক্ত। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন খন্দকার মোশতাক ও জিয়া সকলের জমানো সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে হবে। কারণ তারা দেশের সম্পদ লুট করে দেশের বিরুদ্ধে রাজনীতি করছে। তাদের অর্থায়নের সকল পথ বন্ধ করে দিতে হবে।