প্রতিনিধি ১৩ মার্চ ২০২৫ , ৩:১১:২০ প্রিন্ট সংস্করণ
ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মাগুরায় নির্যাতিত সেই শিশুটি মারা গেছে। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলাইহি রাজিঊন। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) বেলা ১টার দিকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে শিশুটি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে।
ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক নিউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক কর্নেল নাজমুল হামিদ মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আজ (১৩ মার্চ) সকালবেলা শিশুটির দুই দফায় কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়। প্রথম দফায় সিপিআর দেওয়ার পর তার হৃৎস্পন্দন ফিরে আসে। কিন্তু বেলা ১২টার দিকে তার আবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়। সিপিআর দেওয়ার পরও তার হৃৎস্পন্দন আর ফিরে আসেনি। বেলা ১টায় তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।’
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শিশুটি গত ৮ মার্চ সন্ধ্যায় গুরুতর অবস্থায় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি হয়। চিকিৎসার পরিপ্রেক্ষিতে শিশুটির শারীরিক অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যায়। তার অবস্থা ছিল অত্যন্ত সংকটাপন্ন এবং চিকিৎসকরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন।
এর আগে, গত ১২ মার্চ, সেনাবাহিনী থেকে জানানো হয়, শিশুটির অবস্থা আরও খারাপ হয়ে গিয়েছিল। সকাল সোয়া ১১টায় প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, শিশুটির ব্রেন ফাংশন বন্ধ হয়ে গেছে এবং সে কোমায় (গিসিএস লেভেল ৩) ছিল। তার রক্তচাপ এবং অক্সিজেন লেভেলও অনেক কমে গিয়েছিল। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) সকালেও শিশুটি দু’বার কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে আক্রান্ত হয়, সিপিআর দেওয়ার পর কিছু সময়ের জন্য তার অবস্থা স্থিতিশীল হলেও পরে আবারও হৃৎস্পন্দন বন্ধ হয়ে যায়।
সেনাবাহিনী জানায়, শিশুটির রক্তে লবণের ভারসাম্যহীনতার কারণে ডায়ালাইসিসও করা হচ্ছিল। তাছাড়া, তাকে সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের একটি পর্ষদ গঠন করা হয়েছিল।
শিশুটির জন্য সেনাবাহিনী দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছিল, যেখানে বলা হয়, ‘শিশুটির অবস্থা অত্যন্ত সংকটজনক। তার জন্য সর্বোচ্চ চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা তার জীবন রক্ষার জন্য প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন।
অবশেষে, বেলা ১টার দিকে শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করা হয়, যা পুরো দেশবাসীকে শোকের ছায়ায় আচ্ছন্ন করে।