প্রতিনিধি ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ , ৫:৫৪:৫৮ প্রিন্ট সংস্করণ
পটুয়াখালীর বাউফলে চেতনানাশক ছিটিয়ে বাবা-মাকে অচেতন করে এক স্কুল ছাত্রীকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় বেল্লাল হোসেন (২৪) ও ফয়সাল (২২) নামে দুই বন্ধুকে আটক করেছে পুলিশ। স্কুল ছাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয়রা অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে ওই স্কুল ছাত্রীর বাবা-মা দুইজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছেন।
শনিবার রাতে উপজেলার চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের উত্তর চরমিয়াজান বৌ বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চন্দ্রদ্বীপ আসম ফিরোজ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে নানাভাবে উত্তক্ত করতো একই এলাকার মতলেব হাওলাদারের বখাটে ছেলে মোটরসাইকেল চালক বেল্লাল হোসেন। বছর খানেক আগে পারিবারিকভাবে ওই ছাত্রীর অন্যত্র বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েক দিনের মাথায় স্বামীর শারীরিক সমস্যার কারণে তাদের বিয়ে ভেঙে যায়। এরপর ওই ছাত্রীকে ফের উত্যক্ত শুরু করে বেল্লাল। শনিবার রাত ১১টার দিকে বেল্লাল ও তার সহযোগী বন্ধু আকবর গাজীর ছেলে ফয়সাল কৌশলে ঘরের দরজা খুলে শিক্ষার্থীর কৃষক বাবা ও মায়ের মুখমন্ডলে স্প্রে ছিটিয়ে অচেতন করে। পরে মেয়েকে হাত-পা বেঁধে মুখ চেপে ধরে ঘর থেকে বের করে বাড়ির পাশের রাস্তার পাশে নিয়ে দুইজন মিলে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে ওই শিক্ষার্থী তার ঘরের সামনে এসে ডাক চিৎকার দিলে প্রতিবেশি লোকজন ছুটে এসে ছেড়া কাপড়ে বেহাল অবস্থায় দেখতে পায়। এ সময় ওই শিক্ষার্থীর বাবা-মা দুইজনই অসুস্থ অবস্থায় বিছানায় পড়ে ছিল। এরপর খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে বেল্লাল হোসেন ও ফয়সালকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এদের মধ্যে আটক বেল্লাল ব্যবসায়ী শিবু বণিক অপহরণ মামলার অন্যতম আসামী। ১৫ দিন আগে জামিনে ছাড়া পায় সে।
নির্যাতিত শিক্ষার্থীর বাবা সাংবাদিকদের বলেন, সুস্থ্য হয়েই থানায় মামলা দায়ের করবো।
অভিযুক্ত বেল্লাল হোসেন এর স্ত্রী রিপা বলেন, যাকে ধর্ষণের কথা বলা হচ্ছে সে আমার সহপাঠী। আমার স্বামীর সঙ্গে তার একসময় প্রেমের সম্পর্ক ছিল। আমার স্বামীকে না পেয়ে সে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে। ঘটনার সময় আমার স্বামী বেল্লাল হোসেন আমার সঙ্গেই ঘুমিয়ে ছিল। তবে অপর অভিযুক্ত ফয়সালের পরিবারের কাউকে না পাওয়ায় তাদের বক্তব্য জানা যায়নি।
বাউফল থানার এসআই শাহাবুদ্দিন হাওলাদার বলেন, এ ঘটনায় দুইজনকে আটক করা হয়েছে। নির্যাতিত ছাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য পটুয়াখালী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বাউফল থানার ওসি কামাল হোসেন বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আটক দুইজনকে আদালতে পাঠানো হবে।