প্রতিনিধি ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ৫:১৫:২৫ প্রিন্ট সংস্করণ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মাথায় গুলিবিদ্ধ আহত সাব্বির (১৭) ২০ দিন পর আজ শনিবার সকালে না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন। সাব্বির দেবীদ্বার পৌর এলাকার ভিংলাবাড়ি গ্রামের মৃত: আলমগীর মিয়ার পুত্র। সাব্বির পেশায় একজন অটো চালক ছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, গত ৫ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে থানা ঘেরাও করাকালে মাথায় পুলিশের ছোড়া গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। ওই দিন তাকে মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে কুমেক হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ঢাকা ‘গ্রীণ লাইফ হসপিটালে’ চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়। শুক্রবার সকালে বাড়িতে আসেন। আজ শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় হঠাৎ মাথা ঘুরিয়ে পড়ে গেলে তাকে দ্রুত দেবীদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। নিহতের মা’ রীনা বেগম পুত্র শোকে বার বার মুর্চ্ছা যাচ্ছেন। গত দু’বছর পূর্বে স্বামী হারিয়েছেন।
পুত্র সাব্বির তখন এসএসসি পরীক্ষার্থী হলেও পিতার মৃত্যুর কারনে পরিবারের হাল ধরতে গিয়ে আর এসএসসি পরীক্ষা দেয়া হয়নি। সাব্বির যে বয়সে স্কুলে যাওয়ার কথা, সে বয়সে স্কুল ছেড়ে তার মা’ ও দুই ভাই বোন সিয়াম(১১) ও সামিয়া(৬)সহ ৪ সদস্যের পরিবারের ভরনপোষনে অটো চালিয়ে সংসারের হাল ধরেন। তার মৃত্যুতে পুরো পরিবারটি এখন অন্ধকারে। শনিবার বাদ আসর নিজ বাড়িতে সাব্বিরের জানাযা সম্পন্ন হয়।
এ ব্যাপারে দেবীদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম জানান, নিহতের মরদেহ ছোরতহাল তৈরী পূর্বক ময়না তদন্তের জন্য লাশ নিতে চাইলে স্থানীয়রা লাশ দিতে চাচ্ছেনা। এ ব্যপারে সার্কেল এসপি শাহ মোহাম্মদ তারিকুজ্জামান বলেন, নিহতরে লাশ ময়না তদন্তের জন্য ওসি তদন্ত শাহিনকে পাঠিয়েছিলাম, নিহতের ছোরতহাল রিপোর্ট তৈরী করলেও স্থানীয়রা ময়না তদন্তের জন্য লাশ দেয়নি উল্টো লাঠিসোটা নিয়ে লোকজন তেড়ে আসে।