আন্তর্জাতিক

ভারতে বিষাক্ত মদ পানে ৩৭ জনের মৃত্যু

  প্রতিনিধি ২০ জুন ২০২৪ , ৩:৩৯:৪২ প্রিন্ট সংস্করণ

ভারতে বিষাক্ত মদ পানে ৩৭ জনের মৃত্যু

ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য তামিলনাড়ুর কল্লাকুরুচি জেলায় বিষাক্ত মদ পান করে অন্তত ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ জুন) রাতে মদ পানের ঘটনার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন আরও বেশ কয়েকজন। বৃহস্পতিবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ খবর জানিয়েছে।

তামিলনাড়ুর রাজ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিষাক্ত মদ পানের পর অসুস্থ হওয়া ৮০ জনকে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আশঙ্কা করা হচ্ছে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

এ ঘটনায় দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন কল্লাকুরুচির একজন সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছে। রাজ্যের মদ নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগকারী শাখার দশজন সদস্যকেও অবহেলার অভিযোগে বরখাস্ত করা হয়েছে।

প্রতিবছর ভারতে বেআইনি ডিস্টিলারির তৈরি বিষাক্ত মদ পানে অনেক মানুষের মৃত্যু ঘটে। অবৈধ ব্যবসায়ীরা মদের শক্তি বাড়ানোর জন্য প্রায়ই মিথানল মেশায়। যা মূলত একটি অ্যান্টিফ্রিজ হিসেবে ব্যবহৃত হয় ও খুব বিষাক্ত। মিথানল অল্প পরিমাণেও গ্রহণ করলে অন্ধত্ব, যকৃতের ক্ষতি এবং মৃত্যুর কারণ হতে পারে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুসারে, কল্লাকুরুচিতে অভিযুক্তরা স্থানীয় এক বিক্রেতার মাধ্যমে মদ বিক্রি করেছিল। যারা মদ পান করেছেন তারা মাথা ঘোরা, মাথাব্যথা, বমি, বমিবমি ভাব, পেটব্যথা এবং চোখে জ্বালাপোড়া অনুভব করে। পরে তাদের হাসপাতালে নেওয়া হয়।

তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন নিহতদের পরিবারকে ১০ লাখ রুপি এবং হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারকে ৫০ হাজার রুপি করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি লিখেছেন, অপরাধে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া যারা এটি প্রতিরোধে ব্যর্থ হয়েছে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

তবে বিরোধী দলগুলো সরকারের সমালোচনা করেছে। ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) তামিলনাড়ু প্রধান কে আন্নামালাই অভিযোগ করে বলেছেন, গত দুই বছরে ডিএমকে (দ্রাবিড় মুনেত্র কাজগম) শাসনামলে বিষাক্ত মদের কারণে মৃত্যুর ঘটনা তামিলনাড়ুকে ১৯৮০-এর দশকে ফিরিয়ে নিয়ে গেছে।

তিনি আরও দাবি করেছেন, মদ বিক্রির তদারকির দায়িত্বে থাকা মন্ত্রীর অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত।