বরিশাল

“মাদক নির্মূলে সর্বদা আপনাদের পাশে আছি” – বরগুনার (ওসি ডিবি) খন্দকার জাকির

  প্রতিনিধি ৩ অক্টোবর ২০২০ , ৩:৪২:৩৩ প্রিন্ট সংস্করণ

সোহরাব, বরগুনা সংবাদদাতা:

মাদক নির্মূলে ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে সর্বদা আপনাদের পাশে আছি। আমাদের সমাজে মাদকের ভয়াবহতা ক্যান্সারের মতো। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ক্যান্সারের থেকেও ভয়াবহতা বেশি। মাদকে আসক্ত হয়ে সন্তানরা বাবা-মাকে হত্যা করছে। আবার মাদকাসক্ত বাবা-মায়েরা সন্তানদের কথা চিন্তা না করে পরিবারকে ধ্বংস করে দিচ্ছেন। একটা পরিবারের একজন সদস্য যখন মাদকে আসক্ত হয়, তখন তার পুরো পরিবার ধ্বংস হয়ে যায়। যার উদাহরণ বর্তমান আমাদের সমাজের অনেক পরিবার। মাদকের নেশা দ্রব্যের কারণে সমাজে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে এবং এই মাদককে কেন্দ্র করে ক্রমাগতই বেড়ে চলে অন্যায়-অত্যাচার।

আর এই পরিস্থিতিকে সামাল দিতে বরগুনা জেলা গোয়েন্দা শাখার (ওসি ডিবি) খন্দকার জাকির হোসেন যোগদানের পর হতে জেলার মধ্যে কোন মাদক নির্মূলে মাদকের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের সাথে আপোষহীন ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষনা করে সর্বদাই মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। এছাড়াও তিনি বর্তমানে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে তার নিজেস্ব তহবিল থেকে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে মহত্বের পরিচয় দিয়েছেন।

ওসি (ডিবি) সাংবাদিকদের সাথে একান্ত আলাপচারিতা কালে তিনি বলেন, মাদক নির্মূলে ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমি সর্বদা আপনাদের পাশে আছি এবং ভবিষতেও থাকবো। একটি জাতিকে ধ্বংস করতে মাদকই যথেষ্ট। আজকের এই অবস্থানটি এক দিনে আসেনি। মাদক নিলে মস্তিষ্কে আনন্দের কোষ আন্দোলিত হয়। যারা মাদক নেন তাদের জিজ্ঞাসা করলে একটি লোকও বলবে না যে মাদক ভালো লেগেছে। হতাশা আর অবসাদ ঘিরে রাখা তাদের জীবন। তারা বলবে, ‘ স্যার / ভাই আমি তো বাঁচব না ! আমাকে খেতেই হবে।’ তারা মাদক গ্রহণের ক্ষেত্রে এ ধরনের ভাষা ব্যবহার করে থাকে। মাদকাসক্তরা জেনেশুনেই বিষপান করছে। কারণ আমাদের সমাজের অবক্ষয়। ধনী-গরিবের মধ্যে বৈষম্য, বেকারত্ব আর হতাশা। কেউ ভালো খাচ্ছে আর কেউ খেতে পাচ্ছে না। এ ধরনের সামাজিক বৈষম্য থেকেই আমাদের সমাজের অনেকে মাদকের দিকে ঝুঁকছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় আমরা মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রেখেছি। মাদক কারবারি যেই হোক না কেন কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। মাদকের সাথে কোনো প্রকার আপোষ নয়। প্রধানমন্ত্রী মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। মাদকের সাথে যারা সম্পৃক্ত রয়েছে তাদেরকে কোনো প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না। মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক সচেতনতা বাড়াতে হবে।

 

আইনশৃংখলা রক্ষায় তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। বিভিন্ন মাধ্যমে মাদকদ্রব্য আনা-নেওয়ার কাজে যারা লিপ্ত সহ সকল মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। মাদকমুক্ত বরগুনা জেলা গড়তে বরগুনা পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন পিপিএম এর জোর নির্দেশনা রয়েছে, প্রয়োজনে আরো কঠোর ভাবে অভিযান পরিচালনা করা হবে। মাদক কারবারি যেই হোক না কেন কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। আমার কাছে অন্যায় বা দূর্নীতির কোন সুযোগ নাই। মাদক নির্মুল না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এই অভিযান অব্যহত থাকবে। আশাকরি আপনারা সহ সকলেই মাদকমুক্ত সোনার বাংলাদেশ গড়তে প্রশাসনকে সহায়তা করবেন।