দেশজুড়ে

মুকসুদপুরে পৃথক সংঘর্ষে ওসিসহ অর্ধশতাধিক আহত, পুলিশের রাবার বুলেট নিক্ষেপ 

  প্রতিনিধি ২৬ মে ২০২০ , ৬:১৯:২১ প্রিন্ট সংস্করণ

কে. এম. সাইফুর রহমান, গোপালগঞ্জ : গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে পৃথক দুটি সংঘর্ষের ঘটনায় থানার ওসিসহ অন্তত অর্ধশতাধিক আহত হয়েছে। এ সময় ১০-১৫টি দোকান, একটি বাড়ি ভাংচুর এবং একটি মটর সাইকেলে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (২৬ মে) বেলা সাড়ে ১০টার সময় মুকসুদপুর উপজেলার বনগ্রাম বাজার ও আইকদিয়া গ্রামে এসব সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আহতদেরে মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় দুইজনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, অল্যদের মুকসুদপুর উপজেলা ও রাজৈর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

মুকসুদপুর ও কাশিয়ানী সার্কেল-এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো.আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়া ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে গণমাধ্যমকে জানান, বনগ্রাম বাজারে মহারাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফ আলী আশু মিয়া'র ছেলে আলমগীর মিয়ার ঔষুদের দোকানের সামনে ঈদের দিন বিকালে মহারাজপুর গ্রামের ইজিবাইক চালক লাবলু খান তার ইজিবাইক রাখাকে কেন্দ্র করে দুইজনের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এরই জেরে পরে বনগ্রাম ও মহারাজপুর গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে পুলিশসহ উভয় পক্ষের অন্তত ২৫/৩০ জন আহত হয়েছে। পরে পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।

এদিকে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বনগ্রাম বাজারের পাশের গ্রাম আইকদিয়া ও পাইকদিয়া গ্রামবাসীও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে এখানে উভয় দলের ২৫ জন আহত হয়েছে। পুলিশ প্রায় দুই ঘন্টা চেষ্টা করে এবং বনগ্রাম বাজারে রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে এলাকার পরিস্থিতি তাদের নিয়ন্ত্রনে আনে।

সংঘর্ষের সংবাদ পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোসা.তাসলিমা আলী, উপজেলা চেয়ারম্যান মো.কাবির মিয়া, উপজেলা আ.লীগের সাধারন সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো.রবিউল আলম সিকদার ঘটনা স্থলে গিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত উভয় পক্ষকে সংঘর্ষ থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ জানান। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলে এখনও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by