ঢাকা

মুকসুদপুরে বিধিনিষেধ উপেক্ষা ভারী যানবাহন চলাচলে জনজীবণ অতিষ্ঠ

  প্রতিনিধি ১২ মার্চ ২০২৩ , ২:০৫:৩৯ প্রিন্ট সংস্করণ

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলায় বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে সরু রাস্তা দিয়ে ইট, খোয়া বালু বোঝাই ভারী যানবাহন চলাচলে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। 

জানাযায়, মুকসুদপুর হতে কৃষ্ণা দিয়া পর্যন্ত প্রায় ০৭ কিলোমিটার পাকা সড়ক সাধারণ জনগনের সুবিধার কথা বিবেচনা করে দুই বছর পূর্বে নির্মাণ করা হয়েছে। এ সকল সরু সড়কে বেশ কিছু দিন যাবৎ ইট, খোয়া, বালু ও মাটি বোঝাই করে প্রতিদিন শত শত ট্রাক/ ট্রাক্টর ও নসিমন যাতায়াত করার ফলে সড়কটি ধীরে ধীরে অকার্যকর হয়ে পড়ছে।

মুকসুদপুর সদর পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডে রেল প্রজেক্টের কাজ চলছে সে জন্য রেলের মালামাল পরিবহনের জন্য লিং রোড রয়েছে কিন্তু সেখান থেকে কিছু যানবাহন গেলেও জনগণের চলাচলের সরু সড়ক দিয়েই বেশি যানবাহন চলাচল করে, এই সরু সড়কের পাশে শত শত বসত বাড়ি রয়েছে, বিপুল সংখ্যক যানবাহন চলাচলের ফলে সড়কের পাশে থাকা বাড়িতে ধূলা ময়লা প্রবেশ করে বাড়ীঘর সব ধূলোয় আছন্ন হয়ে পড়ছে। এই ধূলা ময়লার কারনে বাড়িতে থাকা ছোট শিশু ও বয়স্ক মানুষ শাসকষ্ট সহ নানাবিধ  রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এই সড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত উপজেলার প্রায় ৮/১০ গ্রামের ও পার্শ্ববর্তী জেলা ফরিদপুরের সালথা, নগরকান্দা উপজেলার প্রায় ৭০/৮০ টি গ্রামের মানুষ তাদের নিত্য প্রয়োজনে মুকসুদপুরের বাজারে আসেন। আসার সময়ে অনেকে দুর্ঘটনার শিকার হন, শিশু শিক্ষার্থীদের স্কুলে যাতায়াতের সময় প্রায়শই চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। তাছাড়া ধুলোর জন্য সড়ক দুর্ঘটনায়ও পড়তে হচ্ছে অহরহ। এছাড়াও এই সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচলের সময়ে সড়কের ধুলোবালি ও ময়লায় আছন্ন হয়ে চোখে মুখে ও সম্পূর্ণ শরীর ময়লায় নষ্ট হয়ে যায়! তাই এই সমস্যা থেকে দ্রুত পরিত্রাণ পেতে গোপালগঞ্জ-১ (কাশিয়ানী -মুকসুদপুর) আসনের উন্নয়নের রূপকার, বারবার নির্বাচিত মাননীয় সংসদ সদস্য মুহাম্মদ ফারুক খান ও জেলা প্রশাসক মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ওই এলাকায় হাজারো ভুক্তভোগী মানুষ।

আরও খবর

Sponsered content