ঢাকা

মুকসুদপুরে সাংবাদিক হায়দার হোসেনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল 

  প্রতিনিধি ১৭ নভেম্বর ২০২৪ , ৬:৩১:৪১ প্রিন্ট সংস্করণ

মুকসুদপুরে সাংবাদিক হায়দার হোসেনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল 

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে পাক্ষিক মুকসুদপুর সংবাদের সম্পাদক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক হায়দার হোসেনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেছে মুকসুদপুর সরকারি কলেজে ছাত্র দল। 

রোববার (১৭ নভেম্বর) বেলা ১১ টার সময়ে মুকসুদপুর কলেজ ছাত্র দল সাংবাদিক হায়দার হোসেন তার পাক্ষিক মুকসুদপুর সংবাদ পত্রিকায় জাতীয়তাবাদী বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিমকে নিয়ে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রচারের প্রতিবাদে, সরকারি মুকসুদপুর কলেজ ক্যাম্পাসে কলেজ ছাত্র দল প্রতিবাদ বিক্ষোভ মিছিল করেছে। 

এ সময় মুকসুদপুর কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি মেহেদী মুন্সী, সাধারণ সম্পাদক মহসিন মোল্যা, সিনিয়র সহ-সভাপতি অন্তর শেখ , সিনিয়র যুগ্ন সম্পাদক সাকিব আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, দুর্নীতিবাজ হায়দার হোসেন বর্তমানে মুকসুদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক,  হায়দার হোসেন তার নিজ গ্রাম, কমলাপুরে এমপিও ভুক্ত একটি মাদ্রাসায় চাকুরি করে একই সাথে সে সরকারি সংবাদ সংস্থা (বাসস) এ দীর্ঘ ১৬ বছর যাবৎ কর্মরত রয়েছেন। সে নিজে দুর্নীতিবাজ  সাংবাদিক হয়ে ও উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি পদে নিয়োজিত রয়েছেন। একটা মানুষ কি ভাবে দুইটি পদে থেকে সরকার প্রদত্ত আর্থিক সুবিধা ভোগ করে চলেছেন। প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন  কর্মকর্তাসহ মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা, সম্মানীত শিক্ষা উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, গোপালগঞ্জ জেলার জেলা প্রশাসক, মুকসুদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সহ আইন- শৃঙ্খলাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার দৃষ্টি আকর্ষন করেছে? বক্তারা আরো বলেন সে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সম্পাদক মন্ডলীর  সদস্য গোপালগঞ্জ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ ফারুক খানের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে থেকে এবং তার নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদাবাজিসহ এমন কোন ন্যাক্কার জনক কাজ নেই যে, সে করেননি? উপজেলার নিরীহ ব্যক্তিদের ভয়ভীতি দেখিয়ে হয়রানি করে ঘর ছাড়া করেছে। এই হায়দার হোসেন একজন জুলার ছেলে সে এক সময়ে পত্রিকার হকারী করে জীবন-যাপন করতো তাই তার মনমানসিকতা ছোটলোক প্রকৃতির , সে বিগত বিএনপির ক্ষমতায় থাকাকালীন গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি এম এইচ খান মঞ্জুর পা চাটা কুত্তা ছিলো আবার আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার সাথে সাথে দল পাল্টিয়ে ফারুক খানের হাত-পা ধরে দলে জায়গা করে নিয়েছেন। দল পরিবর্তন করে ফায়দা লুটাই তার কাজ। বর্তমানে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক মেজবাহ্ র কাছে প্রবেশ করতে চাচ্ছে আর এটাই তার নীতি?? ১৫ নভেম্বর ২০২৪ ইং তারিখে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম ভাই এবং উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম রাজু’র বিরুদ্ধে তার সম্পাদিত স্থানীয় পাক্ষিক মুকসুদপুর সংবাদ পত্রিকায় জাতীয়তাবাদী বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম ভাইয়ের বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ জানান। সেই সাথে দুর্নীতিবাজ, ঘুষখোর, সুদখোর সাংবাদিক হায়দার হোসেনকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি করছি!! বক্তারা বলেন যে, হায়দার বিগত ১৬ বছরের মধ্যে একমাসও তিনি যে মাদ্রাসায় চাকুরী করেন সেই কর্মস্থলে যাননি এজন্য সে কয়েকবার সাময়িক বহিষ্কার ও হয়েছেন। বর্তমানে হায়দার হোসেন পলাতক থেকেও হাজিরা খাতায় উপস্থিত দেখিয়ে সরকার প্রদত্ত অনৈতিক সুবিধা নিচ্ছেন। বিষয়টি ইতোমধ্যেই উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানানোর পরও তার বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কেন কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না তা আমাদের বৈধগম্য নয়। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আমরা দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।

আরও খবর

Sponsered content