প্রতিনিধি ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪ , ৮:০০:৫৪ প্রিন্ট সংস্করণ
ঢাকা থেকে বেনাপোলের উদ্যেশ্যে ছেড়ে যাওয়া আন্তঃনগর সকল রেল গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর স্টেশনে যাত্রা বিরতির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়েছে। সর্বদলীয় জনগণের অংশগ্রহনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন থেকে আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে মুকসুদপুর রেল স্টেশনে রেলের যাত্রাবিরতির দাবি জানানো হয়। তা না হলে রেল লাইন অবরোধ সহ কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দেন মানবন্ধনে অংশগ্রহণকারী সকল শ্রেণি-পেশার জনগণ।
রোববার (২৯ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় ঢাকা -খুলনা মহাসড়কের মুকসুদপুর উপজেলার মুকসুদপুর কলেজ মোড়ে একে অপরের হাত ধরে অবরোধ করে ঘন্টাব্যাপী এ মানবন্ধন কর্মসূচি পালন করে। এসময় সড়কের দুই পাশে শত শত যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে।
উক্ত মানবন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মুকসুদপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও মানববন্ধন কর্মসূচির আহবায়ক আব্দুস সালাম খান। এসময় তিনি বলেন, ঢাকা- থেকে ছেড়ে আসা ঢাকা-খুলনা, ঢাকা- বেনাপোলগামী আন্তঃনগর রেল চলাচলের জন্য মুকসুদপুরে স্টেশন নির্মাণ করা হয়েছে। অথচ এই স্টেশনটি চালু করা হয়নি। রেলগুলো এখানে যাত্রাবিরতি করেনা। মুকসুদপুরবাসী এ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। শুধু মুকসুদপুর উপজেলাবাসী নয় পার্শ্ববর্তী ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা, সালতা ও আলফাডাঙ্গার মানুষও এ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অথচ আমাদের বাড়ির সামনে দিয়ে রেল যাবে আর আমরা রেলে চড়তে পারবো না এটা হতে পারেনা। এই সুবিধা পেতে আমরা আজ রাস্তায় নেমেছি। তাই আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে মুকসুদপুর স্টেশনে রেলের যাত্রাবিরতির দাবি জানাচ্ছি। এ সময়ের মধ্যে যৌক্তিক এ দাবি না মানা হয় তাহলে আগামীতে রেল লাইন অবরোধ করে কঠোর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।
এ কর্মসূচীতে আরো বক্তব্য রাখেন, মুকসুদপুর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম রাজু, এ্যাড. ও এপিপি মোঃ সুলাইমান সিদ্দীক বাদল, গোপালগঞ্জ জেলা শাখার খেলাফত মজলিসের সহ-সভাপতি মাওলানা জাহিদ আল মাহমুদ, ইসলামী আন্দোলন মুকসুদপুর শাখার সভাপতি হাফেজ মাওলানা ফরহাদ হোসেন, মুকসুদপুর পৌর বায়তুল মাল সম্পাদক আব্দুর রহমান, মুকসুদপুর ইসলামী ছাত্র শিবিরের সভাপতি মোকারম বিল্লাহ, জামায়াতে ইসলামী মুকসুদপুর শাখার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মাওলানা আব্দুল আজিজ, মুকসুদপুর পৌর জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক আবু তালিব, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের নেতা মোহাম্মদ নুরুজ্জামান নয়ন, জেলা শ্রমিক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ আলী শেখ প্রমূখ। মানবন্ধন শেষে মুকসুদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে ঢাকায় উপদেষ্টা বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। মানবন্ধনে বিএনপি, জামায়াত, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন সহ ইসলামিক দল ও বিপুল সংখ্যক জনগণ অংশগ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, ঢাকা-খুলনা, ঢাকা-বেনাপোল আন্তঃনগর রেল মুকসুদপুর রেল স্টেশনে যাত্রা বিরতি না করে কাশিয়ানী রেল জংশনে গিয়ে যাত্রা বিরতি করে। এতে শুধু মুকসুদপুরের যাত্রী সাধারণই নয় পার্শ্ববতী ফরিদপুরের সালতা, নগরকান্দা উপজেলার যাত্রী সাধারণও রেলের যাত্রীসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।