প্রতিনিধি ২৮ জানুয়ারি ২০২৩ , ৭:৪৭:০২ প্রিন্ট সংস্করণ
ভোরের দর্পণ ডেস্ক :
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের র্যাগিংয়ের নামে বিভিন্ন হয়রানিমূলক আচরণ প্রতিরোধে খসড়া নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে। র্যাগিংয়ে অভিযুক্তদের অন্যান্য শাস্তির মধ্যে অস্থায়ী বা স্থায়ী বহিষ্কারের নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে। নাম ব্যঙ্গ করা, কুরুচিপূর্ণ অঙ্গভঙ্গি, উত্ত্যক্ত করা, মানসিক চাপ দেয়া, অবহেলা বা এড়িয়ে চলা ও বদনাম করাকে র্যাগিংয়ের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বুলিং বা র্যাগিং প্রতিরোধ সংক্রান্ত নীতিমালা-২০২৩’ সারা দেশের সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য প্রযোজ্য হবে বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
নীতিমালায় জানানো হয়, শিক্ষার্থী ছাড়াও শিক্ষক ও অভিভাবক দ্বারা র্যাগিং হতে পারে। র্যাগিং হতে পারে শারীরিক বা মানসিক, একক বা দলবদ্ধ। বর্তমানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে সামাজিক বুলিং, সাইবার বুলিং, সেক্সুয়াল বুলিং বা জাতিগত বুলিং চরম আকার ধারণ করেছে। এর ফলে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনে দীর্ঘমেয়াদি নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এতে শিক্ষার্থীরা বিষণ্ণতা, খিটখিটে মেজাজসহ হীনম্মন্যতায় ভুগে থাকে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এর শিকার হয় দুর্বল শিক্ষার্থীরা।
প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে র্যাগিং প্রতিরোধ কমিটি গঠনের বিষয়ে নীতিমালায় বলা হয়েছে, নিয়মিত সভার মাধ্যমে কমিটির সদস্যরা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করবেন। এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরে পাঠাতে হবে। অধিদপ্তর থেকে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ পাঠাবে। র্যাগিং থেকে উত্তরণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রতি ছয় মাসে একবার সেমিনার বা ওয়ার্কশপের আয়োজন করতে হবে। ‘সাইকোলজিস্ট’ (মনোবিজ্ঞানী) হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন শিক্ষকের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।