বাংলাদেশ

লঞ্চডুবির ঘটনায় গ্রেফতার ৫ আসামি রিমান্ডে

  প্রতিনিধি ৯ এপ্রিল ২০২১ , ৬:১২:৩৫ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্ক:

নারায়ণগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীতে মর্মান্তিক লঞ্চডুবির ঘটনায় জব্দকৃত এসকেএল-৩ লাইটার কার্গো জাহাজ থেকে গ্রেফতার ১৪ আসামির মধ্যে নাবিক ও চালকসহ পাঁচ আসামিকে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। একই সঙ্গে আদালত অপর ৯ আসামির জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

শুক্রবার (০৯ এপ্রিল) বিকেল ৪টায় নৌ-থানা পুলিশ আসামিদের মধ্যে পাঁচজনের সাতদিন করে রিমান্ডের আবেদন করে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ হুমায়ুন কবীরের আদালতে হাজির করে।

এ সময় আসামিদের সবার পক্ষে জামিন আবেদন করেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা। আদালত শুনানি শেষে আসামিদের ব্যাপারে এ আদেশ দেন। পরে আদালতের নির্দেশে নয় আসামিকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া আসামিরা হলেন- এমভি এসকেএল-৩ লাইটার কোস্টার কার্গো জাহাজটির মাস্টার অহিদুজ্জামান, চালক মজনু মোল্লা, সুকানি আনোয়ার মল্লিক, হৃদয় হাওলাদার ও ফারহান মোল্লা।

আসামিদের রিমান্ড ও জামিন আবেদন নামঞ্জুর হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন নারায়ণগঞ্জ আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান।

এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া এলাকা থেকে আসামিদের গ্রেফতারের পর সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের নৌ-থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে কোস্টগার্ড কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার বিকেল চারটা পর্যন্ত আসামিদের সদর নৌ-থানা হাজতে পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়।

গত ৪ এপ্রিল (রবিবার) বিকেল ৫টা ৫৬ মিনিটে নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় লঞ্চ টার্মিনাল থেকে সাবিত আল হাসান নামে লঞ্চটি অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে মুন্সীগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনালের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। সন্ধ্যা আনুমানিক সোয়া ছয়টার দিকে লঞ্চটি সদর উপজেলার কয়লাঘাট এলাকায় গেলে এসকেএল-৩ নামে লাইটার কোস্টার কার্গো জাহাজের ধাক্কায় নদীতে তলিয়ে যায়।

এ ঘটনায় সোমবার লঞ্চটি উদ্ধারসহ দুর্ঘটনাস্থল থেকে এ পর্যন্ত ৩৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতদের অধিকাংশের বাড়ি মুন্সীগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায়। লঞ্চডুবির ঘটনায় বন্দর থানায় পৃথক চারটি মামলা দায়ের করেছে নৌ-মন্ত্রণালয়, নৌ-থানা পুলিশ, জেলা প্রশাসন ও বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দর কর্তৃপক্ষ।

Powered by