প্রতিনিধি ৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ , ৭:৩৭:৪৯ প্রিন্ট সংস্করণ
পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি :
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার খবরে টানা দেড় বছর ঘরবন্দি থাকা শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা খুশি। স্কুলগুলোতে চলছে ধোয়া-মোছার কাজ। এদিকে, সরকার ঘোষিত ১২ সেপ্টেম্বরের আগেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনুকূল পরিবেশ তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন সংশ্লিষ্টরা। মঙ্গলবার উপজেলার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঘুরে দেখা যায়, দীর্ঘদিন শিক্ষার্থীদের পদচারণা
না থাকায় বিদ্যালয়গুলোর আনাচে-কানাচেসহ পুরো মাঠ ভরে গেছে ঘাস-আগাছায়। দেয়াল ছেঁয়ে গেছে মাকড়ার জালে। টেবিল-চেয়ারে জমেছে ধুলো-ময়লার আস্তরণ। পলাশবাড়ী পৌরশহরের মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, কোনো প্রতিবন্ধকতা না থাকায় মাঠের ঘাসগুলো বেড়ে উঠেছে স্বাধীনভাবে। ভেতরে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিটি কক্ষের দেয়াল-ছাদ ছেঁয়ে গেছে মাকড়সার জালে, টেবিল-চেয়ারে জমেছে ধুলোবালুর পুরু আস্তরণ। বিদ্যালয়ের দপ্তরি কাম নৈশপ্রহরী বেলাল সেসব পরিষ্কার করছেন যত্নের সঙ্গে। বিদ্যালয়ে উপস্থিত প্রধান শিক্ষকসহ সহকারী শিক্ষকগণ। তারাও দিক-নির্দেশনাসহ বিদ্যালয় খোলাকে কেন্দ্র করে নানা কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও উপজেলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতির সভাপতি সাহেদার রহমান সরকার জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে গত মাসের ২৩ তারিখ থেকে শিক্ষকরা নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসছেন। আগামী ১২ তারিখ থেকে বিদ্যালয় খোলার প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সে লক্ষ্যে বিদ্যালয় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নসহ সার্বিক প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। বিদ্যালয়ের প্রতিটি স্থান জীবাণু মুক্ত করাসহ প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জন্য দুটি করে মাস্ক ও স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। দু’এক দিনের মধ্যে মাঠের ঘাস পরিষ্কার করা হবে। এছাড়া বেঞ্চগুলোতে নতুন করে রঙ করা হচ্ছে। এদিকে, দীর্ঘদিন পর বিদ্যালয় খোলার ঘোষণায় খুশি শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা। পাশাপাশি আছে উদ্বেগও। উপজেলা সদরের পলাশবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী সাদিয়া আক্তার ও বঙ্গবন্ধু বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ২য় শ্রেণির শিক্ষার্থী জানায়, স্কুল খুলছে জেনে অনেক আনন্দ হচ্ছে। দীর্ঘদিন পর সহপাঠিদের সঙ্গে দেখা হবে। একসঙ্গে পড়াশুনা-খেলাধুলা অনেক মজা হবে।