ঢাকা

শতাধিক এলাকাবাসীর অভিযোগের পর প্রকল্পের কাজ শুরু করলেন সেই দুই জনপ্রতিনিধি

  প্রতিনিধি ৪ জুলাই ২০২১ , ৬:১০:৫৯ প্রিন্ট সংস্করণ

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে জেলা পরিষদের সদস্য সন্তোষ কুমার বিশ্বাস ও তার পুত্র বৌলতলী ইউপি চেয়ারম্যান বাবু সুকান্ত বিশ্বাসের বিরুদ্ধে বৌলতলী ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের প্রকল্পের রাস্তা ও মন্দিরের উন্নয়ন বাবদ সরকারি অর্থ বরাদ্দ নিয়ে কোনো ধরনের কাজ না করে প্রকল্প বরাদ্দের লক্ষ-লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ তুলে একই ইউনিয়নের প্রায় শতাধিক লোকের স্বাক্ষরযুক্ত একটি লিখিত অভিযোগপত্র জমা হওয়ার খবর শুনে গত শুক্রবার (২ জুলাই) সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনের মধ্যেই তড়িঘড়ি করে প্রকল্পের আওতায় সেই কাজগুলো শুরু করেছেন স্থানীয় ওই দুই জনপ্রতিনিধি। কাজগুলোর মধ্যে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ২নং বৌলতলী ইউনিয়ন পরিষদের কাঁচা বাজারের পুরাতন মন্দির সংলগ্ন নতুন আরেকটি মন্দির নির্মাণ। যা এ যাবৎকাল কাগজপত্রেই সীমাবদ্ধ ছিলো, অবকাঠামোগত ভাবে এর প্রাতিষ্ঠানিক কোন রূপরেখা ছিলো না।
এছাড়া চেয়ারম্যান বাবু সুকান্ত বিশ্বাস গত শুক্রবার রাতের আঁধারে কলপুরের সেই আলোচিত আমানউল্লাহ পাঠাগারে নতুন ১০টি চেয়ার পাঠিয়েছেন এবং গান্ধিয়াশুর ধীমান মেম্বারের বাড়ির দূর্গা মন্দিরের উন্নয়নের কথা থাকলেও সেখানে তারা কালী মন্দির উন্নয়নের জন্য টাইলস ও অন্যান্য নির্মাণসামগ্রী পাঠিয়েছেন বলে অভিযোগ উত্থাপনকারী এলাকাবাসীরা জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে অভিযোগকারীরা গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রাশেদুর রহমানকে জানানোর পর তিনি গত শনিবার (৩ জুলাই) সরেজমিনে বৌলতলী কাঁচা বাজার এলাকা পরিদর্শন করেন বলে জানাগেছে।

আরও খবর

Sponsered content