প্রতিনিধি ২২ আগস্ট ২০২১ , ৭:২৪:৫৭ প্রিন্ট সংস্করণ
সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি:
সাভার কাউন্দিয়ি ইউনিয় এলাকায় শনিবার বিকেলে ফুটবল খেলা শেষে ত্রিরিশ ফিটের বালুর চর এলাকায় সকলের সাথে গোসল করতে তুরাগ নদীতে নেমে নিখোঁজ হয় দুই কিশোর। নিখোঁজ কিশোররা হচ্ছে, মিরপুর শাহআলী থানার ‘সি’ ব্লকের মো: আল-আমিনের ছেলে আলভী ও মো: আক্তার হোসেন এর ছেলে মো: রিয়াদ। উভয়ের বয়স ১০-১২ হবে ও তারা দু’জনেই সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী বলে জানা গিয়েছে। এদিকে শনিবার সন্ধ্যায় ৭ টায় খবর পেয়ে টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের ৫ সদস্যের একটি ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে এসে উদ্ধার অভিযান শুরু করে।
ডুবুরি দলটি দুইটি ভাগে বিভক্ত হয়ে দুই জন ডুবুরি নদীতে অভিযান শুরু করে। নদীতে পানির অতিরিক্ত স্রোত থাকায় প্রায় ১ ঘন্টা অভিযান চালিয়ে প্রথম দিনের অভিযান সমাপ্তি করলেও গতকাল রবিবার সকাল ৮ টা থেকে দ্বিতীয় দিনের মত অভিযান শুরু করেন বলে ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে। ঘটনাস্থলে নিখোঁজ কিশোরদের পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতি লক্ষ করা গিয়েছে। এ সময় তারা নিজ নিজ সন্তানের জন্য কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। প্রায় ২৪ ঘন্টা পার হলেওমগতকাল বিকেল পর্যন্ত সন্ধ্যান মেলেনি কিশোর আলভী ও রিয়াদের।
প্রত্যক্ষদর্শী মিরাজ জানান, শনিবার বিকেলে মিরপুর এলাকা থেকে ছয় জনের একটি কিশোর দল কাউন্দিয়ার ত্রিরিশ ফিটের বালুর চর মাঠে ফুটবল খেলতে আসে। খেলা শেষে তারা সকলে নদীতে গোসল করতে নামলেও আলভী ও রিয়াদ পানিতে ডুবে নিখোঁজ হয়। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ও কাউন্দিয়া পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। সন্ধ্যা ৭টা থেকে ৮টা পর্যন্ত প্রায় ১ ঘন্টা ডুবুরিদল উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে নদীতে। এদিকে রাত হয়ে যাওয়ায় ও নদীতে স্রোতের কারনে প্রথম দিনের উদ্ধার অভিযান সমাপ্তি ও রোববার সকাল থেকে আবার উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
নিখোঁজদের স্বজনরা কান্না কান্না কন্ঠে বলেন, দুইদিন হয়ে গেছে আমাদের সন্তানদের সন্ধ্যান পাচ্ছিনা আমরা। কখন পাবো বলতেও পারছিনা ঠিক করে। নদীতে ডুবুরির সংখ্যা বাড়ানোর দরকার ছিলো।
টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের লিডার মো: আব্দুল জলিল বলেন, খবর পেয়ে শনিবার দুই জন ডুবরি ও ফায়ার সার্ভিসের আরো তিন সদস্য মিলে অভিযান শুরু করি। তবে স্রোত ও রাত হয়ে যাওয়ার করনে প্রথম দিনের অভিযান সমাপ্ত করা হয়। গতকাল সকাল থেকে আমরা আবার অভিযান শুরু করেছি। ডুবুরি এক জাগায় নামলে স্রোতে অন্য জাগায় চলে যাচ্ছে। স্রোতের কারনে কাজ করতে একটু সমস্যা হচ্ছে। স্থানীয় থানা পুলিশ ও এলাকাবাসী আমাদের সহযোগীতা করছেন।
সাভার কাউন্দিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহ-আলম বলেন, ফায়ার সার্ভিস চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ও সাথে আমাদের পুলিশ সহযোগীতা করছে। শনিবার রাতে ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার অভিযান বন্ধ করে দিলেও ঘটনাস্থলে আমাদের পুলিশ ছিলো।