দেশজুড়ে

সীতাকুণ্ডের বাকি কন্টেইনার ডিপোগুলো নিয়ে এলাকার জনসাধারণ আতঙ্কে

  প্রতিনিধি ১১ জুন ২০২২ , ৮:১৩:০২ প্রিন্ট সংস্করণ

গত (৪ জুন) শনিবার রাতে সীতাকুণ্ড বিএম কন্টেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়/ফাইল ফটো

কামরুল ইসলাম দুলু, সীতাকুণ্ড( চট্টগ্রাম): চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ির বিএম কন্টেইনার ডিপুতে স্মরণকালের ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর উপজেলার মানুষের মাঝে আতংক দেখা দিয়েছে। সীতাকুণ্ডের বিভিন্নস্থানে এধরণের আরো ৪-৫ টি কন্টেইনার ডিপো রয়েছে। যেগুলোতে প্রশাসনের তেমন তদারকি নেই। প্রতিদিন শত শত লরী, কাভার্ডভ্যান করে মালামাল আসছে যাচ্ছে। ওই ডিপোগুলোতে কর্মরত আছে বহু মানুষ।

বি এম ডিপোর ঘটনার পর থেকে মানুষের মনে এক ধরণের ভয় ঢুকে গেছে সাধারণ মানুষের। ওই কন্টেইনার ডিপোগুলোতে যারা কর্মরত তারা ছাড়া অন্য কোন ব্যক্তি বা কোন সাংবাদিক প্রবেশ করতে পারে না। যার ফলে ওই কন্টেইনার ডিপোগুলোতে কি কি রাসায়নিকের পদার্থ রয়েছে তা জানার সুযোগ হয় না। সীতাকুণ্ডে যেসব কন্টেইনার ডিপো রয়েছে সেগুলো বেশিরভাগ ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় এবং মহাসড়কের পাশে।

সীতাকুণ্ডে কন্টেইনার ডিপো ছাড়াও উপজেলার বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের সমুদ্র উপকুল গড়ে উঠেছে প্রায় ৫-৬ টি গ্যাস আমদানি কারখানা। সেখানে রয়েছে বিশাল বিশাল বয়লার। যেগুলোতে মজুদ করা হয় গ্যাস। ওই এলাকার অধিবাসীরা সব সময় শঙ্কিত রয়েছেন কখন কি ঘটে।

চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য আ ম ম দিলসাদ বলেন, বিএম ডিপোর মতো সীতাকুণ্ডে আরো বেশ কয়েকটি কন্টেইনার ডিপো রয়েছে। ওই সব ডিপোগুলোতে কোন ধরণের ক্যামিকেল আছে কি না সরকরীভাবে তদন্ত করে দেখা দরকার। বিএম ডিপোর ঘটনা আমাদেরকে একটা শিক্ষা দিয়ে গেছে। এ ধরণের ঘটনা যাতে সীতাকুণ্ডে আর ঘটতে না পারে সে বিষয়ে প্রশাসনকে কঠোর তদরকি করতে হবে।

গত (৪ জুন) শনিবার রাতে সীতাকুণ্ড বিএম কন্টেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে ৪৬জন নিহত ও দুইশতাধিকের বেশী আহত হন ।

 

আরও খবর

Sponsered content

Powered by