বাংলাদেশ

স্কুলে স্কুলে দুপুরের খাবারের ব্যবস্থাটি আরও বিস্তৃত করার চেষ্টা করছি: গণশিক্ষা উপদেষ্টা

  প্রতিনিধি ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ৭:০১:৫০ প্রিন্ট সংস্করণ

স্কুলে স্কুলে দুপুরের খাবারের ব্যবস্থাটি আরও বিস্তৃত করার চেষ্টা করছি: গণশিক্ষা উপদেষ্টা
ছবি: সংগৃহীত

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, ‘ভাষা ছাড়া আমাদের অস্তিত্ব কল্পনা করা যায় না, শিশুরা মাতৃভাষায় শিক্ষা গ্রহণ করতে না পারলে তাদের বিকাশে সমস্যা হয়। আমরা শুধু দেশের নাগরিক না, আমরা এখন আন্তর্জাতিক নাগরিক। যোগাযোগ, যাতায়াত, অর্থনীতি—সবদিক দিয়ে বিশ্বটাই একটি একীভূত বিষয় হয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক নাগরিক হয়ে ওঠার জন্য আমাদের অন্য ভাষা চর্চা করা প্রয়োজন। আমাদের বাচ্চাদের যদি বহু ভাষাভাষী করে গড়ে তুলতে পারি, তাহলে তারা দেশের জন্য সম্পদ হয়ে দাঁড়াবে। যদি নিজ নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করি, তাহলে দেশ ঠিক হয়ে যাবে।’

আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা। আজ রোববার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো মিলনায়তনে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে গণশিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘শুধু অবৈতনিক শিক্ষা নয়, আমরা উপবৃত্তিও দিচ্ছি। স্কুলে দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা কোন কোন স্কুলে হচ্ছে; সেটিকে আরও বিস্তৃত করার চেষ্টা করছি।’

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিধান রঞ্জন রায় বলেন, ‘শিক্ষা মানুষের অধিকার। ১৯৭২ সালে প্রণীত বাংলাদেশের সংবিধানের ১৭ নম্বর অনুচ্ছেদে নির্ধারিত স্তর পর্যন্ত শিক্ষাকে অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সাক্ষরতা বিস্তারে এ সাফল্যের জন্য আমরা ১৯৯৮ সালে ইউনেসকো পুরস্কার পেয়েছি। সাক্ষরতার ক্ষেত্রে অগ্রগতি আশানুরূপ নয়। আমরা অবৈতনিক শিক্ষা ও বাধ্যতামূলক শিক্ষা প্রকল্প গ্রহণ করেছি। শুধু অবৈতনিক শিক্ষা নয়; আমরা উপবৃত্তি দিচ্ছি, বইপত্র দিচ্ছি, স্কুলে দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা কোন কোন স্কুলে হচ্ছে; সেটিকে আরও বিস্তৃত করার চেষ্টা করছি।’

উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর মহাপরিচালক মো. আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে এম রিয়াজুল হাসান, বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ইউনিটের মহাপরিচালক নুরজাহান খাতুন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আব্দুস সামাদ ও বাংলাদেশে ইউনেসকোর প্রতিনিধি সুসান ভাইজ।

আরও খবর

Sponsered content