প্রতিনিধি ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ , ৪:২৩:১০ প্রিন্ট সংস্করণ
সাবেক বাণিজ্য মন্ত্রী ও বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, যেটা সরকারী উদ্যোগে হওয়া উচিত, সেটা লায়ন্সরা নিজস্ব উদ্যোগে করে যাচ্ছে। চট্টগ্রাম নগরীতে বিশাল এলাকাজুড়ে লায়ন্স চক্ষু হাসপাতাল এবং চক্ষু ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করে চট্টগ্রামের চক্ষু সেবায় এক অনন্য অবদান রেখে চলেছে। তাই শুধু চিকিৎসা সেবা খাতে নয়, সর্বক্ষেত্রেই স্বচ্ছতা মানবিকতায় লায়ন্সের কর্মকান্ড অনুকরণী।
রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর জাকির হোসেন রোডস্থ চট্টগ্রাম লায়ন্স ফাউন্ডেশনের আজীবন সদস্যদের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
আমির খসরু আরও বলেন, বিশ্বে একমাত্র বাংলাদেশেই নাগরিকরা স্বাস্থ্য সেবার জন্য নিজের পকেট থেকে বেশি টাকা ব্যয় করে। এমনকি সেটা আফগানিস্তানের চেয়েও বেশি। এটা আমাদের জন্য লজ্জাজনক। সামনের দিনে এ খাতে বাজেট এবং সরকারী ব্যয়ে নতুন করে ভাবতে হবে। ইউনিভার্সেল হেলথ কেয়ার থেকে সেজন্যই দাবি এসেছে, সবার জন্য স্বাস্থ্য শিক্ষা সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বলেন, সরকারি স্বাস্থ্যসেবার পরিপূরক হয়ে চট্টগ্রাম লায়ন্স ফাউন্ডেশন যেভাবে নিজেদের অর্থায়নে শহর, গ্রাম, দুর্গম পার্বত্য এবং উপকূলীয় অঞ্চলসমূহের হতদরিদ্র, সুবিধাবঞ্চিত ও অসচ্ছল চক্ষুরোগীদের সাশ্রয়ী মূল্যে ও বিনামূল্যে মানসম্পন্ন চক্ষু চিকিৎসাসেবা প্রদান করে দৃষ্টিশক্তি পুনরুদ্ধারে বিশেষ ভূমিকা রেখে যাচ্ছে, এমন ঘটনা বিরল।
তিনি আরও বলেন, আমাদের বিশাল জনগোষ্ঠীকে কর্মক্ষম রাখতে চিকিৎসা এবং শিক্ষা দুটোই নিশ্চিত করতে হবে। কোয়ালিটি এবং ট্রান্সপারেন্ট থেকে কোনো উদ্যোগ নিলে সেটা ফান্ডিংয়ের জন্য আটকে থাকেনা, লায়ন্সরা সেটার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। গরীব মানুষদের চিকিৎসা সেবায় লায়ন্সের কর্মকান্ড সত্যিই প্রশংসনীয় এবং সামনে তা আরও পরিসর বাড়বে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
চট্টগ্রাম লায়ন্স ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান লায়ন নাসির উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও এসোসিয়েট সেক্রেটারী লায়ন আশরাফুল আলম আরজুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন লায়ন্স জেলা গভর্ণর লায়ন কহিনুর কামাল, দ্বিতীয় ভাইস জেলা গভর্ণর লায়ন কামরুজ্জামান লিটন, ফাউন্ডেশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ও প্রাক্তন জেলা গভর্নর লায়ন এম আই খান এবং দৈনিক আজাদী সম্পাদক ও প্রাক্তন জেলা গভর্নর লায়ন এম এ মালেক, লায়ন রূপম কিশোর বড়ুয়া। অনারারি সেক্রেটারী লায়ন দেবাশীষ দত্তের স্বাগত বক্তব্যে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন লায়ন্স ফাউন্ডেশনের আজীবন সদস্য সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল পরিচালনা পরিষদের সভাপতি লায়ন সৈয়দ মোরশেদ হোসেন এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম লায়ন্স ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান লায়ন কামরুন মালেক।
অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন জেলা গভর্ণর লায়ন ডা. শ্রী প্রকাশ বিশ্বাস, লায়ন এস এম সামশুদ্দিন, লায়ন মোস্তাক হোসাইন, লায়ন শাহ আলম বাবুল এবং ফাউন্ডেশনের ট্রেজারার লায়ন এস জোহা চৌধুরী, লায়ন্স আই ইনস্টিটিউট অ্যান্ড হসপিটালের পরিচালক ডা. মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও একাডেমিক ডাইরেক্টর প্রফেসর ডা. প্রকাশ কুমার চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে হাসপাতাল পরিচালনায় এবং পেশাগত দায়িত্ব পালনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় ডা. শাবানা সুলতানা, ডা. মোসাম্মৎ ইনসাফি হান্না, ডা. মোহাম্মদ আলতাফ উদ্দিন খান, ডা. মোছাম্মৎ আফরোজা আকতার, ডা. শেখ মোহাম্মদ মুরাদ, ডা. রিফাত আক্তার, হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারীদের মধ্যে মোছাম্মৎ তৈয়বা, আকলিমা খাতুন, আসমা আক্তার, গুলসানা আক্তার, মো. মুনিরুজ্জামান, রূপক চৌধুরী, পাবেল বড়ুয়া, মোহাম্মদ আবু মিনহাজ, বিলকিস আক্তার ও চিনু রানী মল্লিককে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়।