চট্টগ্রাম

হাটহাজারীতে সুইচগেট ও বেড়িবাঁধ সংস্কার না হওয়ায় জনদুর্ভোগ

  প্রতিনিধি ২৭ জানুয়ারি ২০২৪ , ২:৫৪:৩৩ প্রিন্ট সংস্করণ

হাটহাজারীতে সুইচগেট ও বেড়িবাঁধ সংস্কার না হওয়ায় জনদুর্ভোগ

চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী উপজেলার গড়দুয়ারা ইউনিয়নের অংকুরিঘোনা বেড়িবাঁধ সড়কের চেংখালি সুইসগেটটি ধসে পড়ে বিলীন হয়ে যাওয়ার প্রায় দুই বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত সেটির পুনঃ:নির্মাণ করা হয়নি।

যার ফলে হালদা নদীর শাখা চেংখালী খালের দুই পাশে চাষাবাদের জমির ফসল সম্পূর্ণ বিলীন হয়ে যাচ্ছে । বেড়িবাঁধ ভেঙে দুই পাশের জনসাধারণের ও যানচলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম দূ্র্েভাগ পোহাতে হচ্ছে স্থানীয়দের। দু’পাশের বাড়ি ঘরে জোয়ারের পানি উঠে যাচ্ছে ।

মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসা পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের। এছাড়াও হালদা নদীর প্রবল জোয়ারে শত শত একর কৃষি জমিতে চাষাবাদও করতে পারছেন না স্থানীয় কৃষকেরা । সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, ১৯৮০ সালের দিকে তৈরি হওয়া উপজেলার গড়দুয়ারা ও রাউজান উপজেলার পশ্চিম গহিরা অংকুরিঘোনা বেড়িবাঁধ সড়ক দিয়ে স্যুইসগেট হয়ে চট্টগ্রাম রাঙ্গামাটি মহাসড়কে যাওয়ার সহজমাধ্যম ছিল এটি । সেখান থেকে উপজেলা সদরে যাতায়ারের পথও ছিল খুব সহজ।

২০২২ সালে প্রথমদিকে বেড়িবাঁধ ও স্যুইসগেট ভেঙে হালদার শাখা খাল চেংখালী খালে তলিয়ে যাওয়ায় ওই সড়কের যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে আছে। আর সুইচগেট না থাকায় প্রতিদিনই জোয়ারের পানি লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে। যার ফলে ওখানকার শত শত পরিবারকে প্রতিদিনই চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

স্যুইচগেট এলাকার দোকানদার কামাল সওদাগর ও পূর্ব মেখল সীমান্ত এলাকার বাসিন্দা ইউছুপসহ বেশ কয়েকজন স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে এ প্রতিবেদক কে বলেন, সুইসগেট ও বেড়িবাঁধ ভেঙে পড়ার প্রায় দুই বছর এক মাস চলে যাচ্ছে অথচ এখনো কোনো উদ্যোগ দেখছি না। বেড়িবাঁধ ও সুইচগেট ভেঙে যাবার কারণে আস্তে আস্তে এখানকার চাষাবাদের জমি ও বাড়ি ঘর বিলীন হয়ে যাচ্ছে।

আমরা এলাকাবাসীরা ওই ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ ও সুইসগেট পুনঃনির্মাণ করে এলাকাবাসীদের দুর্ভোগ লাঘবে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. মশিউজ্জামান জানান, আমি পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি সম্পর্কে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলেছি।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাব ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার শাহীন বাদশা জানান, ইতিমধ্যে এটার টেন্ডার হয়ে গেছে আগামী ৯/১০ দিনের মধ্যে ঠিকাদার নিয়োগ করা হবে । আর এ বছরেই কাজ শুরু হবে যা শেষ হতে আনুমানিক দুই বছর সময় লাগবে বলেও জানান তিনি।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by