বাংলাদেশ

১৫ বছরের জঞ্জালের সংস্কার ২-৩ বছরে হবে না: সাখাওয়াত

  প্রতিনিধি ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ৭:২০:১০ প্রিন্ট সংস্করণ

১৫ বছরের জঞ্জালের সংস্কার ২-৩ বছরে হবে না: সাখাওয়াত
ছবি: সংগৃহীত

বরিশালে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পাট, বস্ত্র ও নৌ পরিবহণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, আমি দুটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে আছি। এখানে যা হয়েছে তাকে সাগর চুরি বলা যায় না, হয়েছে প্রশান্ত মহাসাগর চুরি। লাস্ট ১৫ বছর যে সরকার ছিল তারা পুরো সিস্টেম করাপ্ট করে ফেলছে। এখান থেকে বের হয়ে আসা খুবই ডিফিকাল্ট। তবে এ জঞ্জাল ২-৩ বছরে সংস্কার করা সম্ভব না।

দুদিনের সফরে রোববার দুপুরে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন মেরিন একাডেমি পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

এর আগে একাডেমির প্যারেড গ্রাউন্ডে অভিবাদন গ্রহণ শেষে বৃক্ষরোপণ করেন তিনি।

উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত বলেন, কোনো ডিপার্টমেন্ট নাই, কোনো সিস্টেম নাই যে করাপ্ট করা হয়নি। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় তো শেষ করে ফেলা হয়েছে। অলমোস্ট ফিনিশ, আমরা চেষ্টা করছি এগুলো ঠিক করার। সরকারি পাটকল একটাও চলছে না, আমরা চেষ্টা করছি সেগুলো লিজ দিয়ে চালু করার। সরকারের পক্ষে ব্যবসা করা সম্ভব না। দুর্নীতি রোধে দেশবাসীর কাছে সহায়তাও চেয়েছেন। মব জাস্টিসের পক্ষে নয় জানিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার গুরুত্ব দেন এম সাখাওয়াত। পাহাড়ে কেউ যাতে ইন্ধন জোগাতে না পারে সেজন্য পাহাড়িদের দুঃখ-বেদনা বুঝে, শান্তি বজায়ে সৌহার্দ্য স্থাপনে সবপক্ষকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

সাখাওয়াত হোসেন বলেন, নৌ মন্ত্রণালয়ে কিছু কিছু প্রজেক্ট আছে, অনেকে জানেই না কেন হয়েছে এই প্রজেক্ট। এগুলো দেশবাসীর সহায়তা ছাড়া ঠিক করা সম্ভব না। চুরি-চামারি বন্ধ করতে হবে। একটা লোককে ধরলে এখন এক হাজার কোটি টাকা, একটা লোকের ৩৬০টি বাড়ি। আমরাও তো অনেক আগে জন্মগ্রহণ করেছি, আমরা তো কখনো দেখেনি দেশে এত বড় বড় জমিদার। দুদিন আগে কী ছিল, আর এখন হয়ে গেছে হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক। এটাই জাতির জন্য বড় সমস্যা। করাপশন রিডিউস করতে হবে, এটাই আমাদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।

উপদেষ্টা বলেন, আইনের মধ্যে সবাইকে চলতে হবে। শক্ত অ্যাকশন নেওয়া উচিৎ আইন ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে। পাহাড়ে সব সময় সমস্যা ছিল। সেখানে বাঙালি-অবাঙালি বাদে ১৩-১৪টি কমিউনিটি আছে, কেউ ছোট বা কেউ বড়। তাদের মধ্যে সৌহার্দের ব্যাপার আছে। সৌহার্দ বজায় রাখতে হলে অপাহাড়ি যারা আছে তাদের বুঝতে হবে পাহাড়িদের দু:খ ও বেদনা। লোকালি এই সৌহার্দ বাড়াতে হবে। কেউ যাতে ইন্ধন জোগাতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। রক্তপাত বন্ধ করাটা বেটার। সম্প্রীতি বজায় না রাখলে সবারই ক্ষতি।

আরও খবর

Sponsered content