প্রতিনিধি ১৮ জানুয়ারি ২০২৫ , ৭:১১:৩৯ প্রিন্ট সংস্করণ
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে বন্যার পানির স্রোতে ভেসে যাওয়া সেতু দীর্ঘ পাঁচ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো জোড়া লাগেনি। কিংবা নির্মান করা হয়নি নতুন কোন সেতু। যার ফলে চরাঞ্চলের মানুষের নদী পারাপারে পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ।
উপজেলার সদরের সাথে যোগাযোগের একমাত্র সেতু এটি। উপজেলার প্রায় ৫০টি গ্রামের মানুষ এবং পার্শবর্তী মাদারগন্জ উপজেলার মানুষের পারাপারের মাধ্যম এই একটি মাত্র সেতু। যেটি ভেঙ্গে যাওয়ায় চরম দর্ভোগের শিকার হয়ে বছরের পর বছর পার করছেন ঐ সকল চরাঞ্চলের মানুষ।
জানা যায়, জনবহুল ও জনগুরুত্বপূর্ন বিবেচিত হওয়ায় উপজেলার কামরাবাদ ইউনিয়নের শুয়াকৈর ঝিনাই নদীর উপর ২০০৩-০৪ অর্থ বছরে এলজিইডির অর্থায়নে প্রায় দুই কোটি টাকায় সেতু নির্মান করা হয়।
কাজটির কার্যাদেশ পায় এম এইচ এন্টারপ্রাইজ এর স্বত্ত্বাধিকারি আক্তারুজ্জামান। নির্মিত হয় শুয়াকৈর গ্রামে ঝিনাই নদীর উপর ২০০ মিটার দৈর্ঘ্য সেতু। এ সেতুটির নির্মান কাজ শেষ হয় ২০০৬ সালে। সেতুটি নির্মানের প্রায় ১৮ বছর পর হঠাৎ ২০২০ সালে ২২ জুলাই বন্যায় পানির তোড়ে ২০০ মিটার দৈর্ঘ্য গার্ডার ব্রীজের মাঝখানের ৪টি পিলার ও তিনটি স্প্যানসহ ৬০ মিটার নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এরপর থেকেই নদী পারাপারে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন চরাঞ্চলের মানুষ। এছাড়াও কৃষকরা তাদের উৎপাদিত কৃষি পণ্য আনা নেওয়াতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। দীর্ঘদিন ধরে সড়কের যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকা কৃষক তাদের উৎপাদিত কৃষি পণ্য ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছেন। সেতুটি নদী গর্ভে বিলীন হওয়ায় বেকার হয়ে পড়ছে শত শত দরিদ্র রিক্সা, ভ্যান ও অটো রিকশা চালকরা। বন্যার সময় মানুষ তাদের গন্তব্য পৌঁছাতে বিভিন্ন এলাকার রাস্তা ব্যবহার করে। তাই ব্রিজটি পূননির্মান করে দ্রুত দুর্ভোগ লাঘবের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের দায়ীত্বে থাকা কর্মকর্তাদের নিকট দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসি।
উপজলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) জাহিদুল ইসলাম জানান, এ ব্রীজের পাশ দিয়ে ৪৭২ মিটার নতুন করে ব্রীজ নির্মানের জন্য জমি অধিগ্রহনের পরিমান হিসাব করে প্রস্তাপ পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে । নতুন করে ব্রীজ নির্মান ব্যয়ের বরাদ্দ পেলেই টেন্ডার আহবান করা হবে।