চট্টগ্রাম

প্রয়োজনে মিলেনা শিশু হাসপাতালের আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্স

  প্রতিনিধি ১৫ জানুয়ারি ২০২৪ , ৪:০৭:১১ প্রিন্ট সংস্করণ

প্রয়োজনে মিলেনা শিশু হাসপাতালের আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্স

চট্টগ্রাম নগরীর আগ্রাবাদে অবস্থিত জনসম্পৃক্ত তথা জনউদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত চট্টগ্রাম মা শিশু ও জেনারেল হাসপাতালের একমাত্র আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্সটি রোগীর প্রয়োজনে পাওয়া যায় না বলে অভিযোগ ওঠেছে। এতবড় হাসপাতালটির একমাত্র আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্সটি ভাড়া নিতে বিজ্ঞাপন লাগালেও জরুরী প্রয়োজনে তা পাওয়া যায় না। ফলে বাধ্য হয়ে রোগী ও তার স্বজনরা বাইর থেকে অ্যাম্বুলেন্স এনে সেবা নিতে বাধ্য হন। অ্যাম্বুলেন্সের ড্রাইভারকে হাসপাতালের অন্যান্য পরিবহণে ডিউটি করানোর ফলে এমন সমস্যার সৃষ্টি বলে রোগী ও স্বজনদের দাবি।

সম্প্রতি তেমনই একটি ঘটনার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ২৪ ডিসেম্বর পারুল বালা দাশ নামে এক হৃদরোগী ভর্তি হন এ হাসপাতালের ডাঃ আবু তারেক ইকবালের তত্ত্বাবধানে। তিনি রোগীকে সিসিইউতে রেখে জরুরী চিকিৎসা সেবা দিচ্ছিলেন। একপর্যায়ে রোগীর পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে বাইপাসের প্রয়োজন হলে রোগীর স্বজনরা নগরীর মেট্রোপলিটন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সিন্ধান্ত নেন। সে মোতাবেক ২৯ ডিসেম্বর তারা রোগীর ডিসচার্জ নিয়ে মেট্রোপলিটন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ নেন।

সিসিইউতে কর্তব্যরত ডাক্তার এবং ওয়ার্ড মাস্টার বলেছিলেন, আইসিইউ ছাড়া এ রোগী নেয়া ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাবে। ফলে প্রয়োজন হয়ে পড়ে আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্স। কিন্তু রোগীকে ডিসচার্জ নিয়ে আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্স নিতে গিয়ে তারা জানতে পারেন, অ্যাম্বুলেন্সটির ড্রাইভার ওই হাসপাতালের ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের ডাক্তার শেফাতুজ্জাহানের ডিউটিতে রয়েছেন। আইসিইউ সাপোর্ট খুলে ফেলার পরও তারা অ্যাম্বুলেন্সের জন্য বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে না পেয়ে বাধ্য হয়ে বাহির থেকে নরমাল অ্যাম্বুলেন্স এনে রোগীকে নিয়ে মেট্রোপলিট হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা দেন।

পথিমধ্যে তারা আগ্রাবাদ বাদামতলী মোড় পর্যন্ত যাওয়ার পরই রোগীর স্ট্রোক হয়ে যায়। ফলে মেট্রোপলিটন হাসপাতাল নিয়ে গেলে সেখানকার ডাক্তাররা রোগীর এ অবস্থায় বাইপাস সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দেন। ১৪দিন পর পুনরায় ভর্তি করিয়ে বাইপাসের পরামর্শ দিয়ে রোগীকে ফেরত পাঠিয়ে দেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত ওই রোগী বাইপাস করার মতো অবস্থায় ফিরে আসেনি।

ওই রোগীর ছেলে রনজিত দাশ জানান, তার মায়ের এ দূরাবস্থার জন্য শিশু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দায়ী। তারা অ্যাম্বুলেন্সের বিষয়টি কনফার্ম না হয়েই আমার মাকে রিলিজ দিয়ে সব সাপোর্ট খুলে নিয়েছেন। ওই অবস্থায় নরমাল অ্যাম্বুলেন্সের দ্বারস্থ হওয়া ছাড়া আমার কোনো উপায় ছিলো না।

হাসপাতালের ট্রান্সপোর্ট ইনচার্জ আক্তার বলেন, আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্সের ড্রাইভার সাধারণত না জানিয়ে অন্যকোনো ডিউটিতে যাওয়ার নিয়ম নেই। কারণ কখন কার অ্যাম্বুলেন্স প্রয়োজন হয় তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। তবে যেহেতু লোকবল সংকট আছে, সেহেতু হাসপাতালের জরুরী প্রয়োজনে মাঝে মধ্যে ডিউটি করতে হয়।

অ্যাম্বুলেন্সের ড্রাইভার মুজিব বলেন, ওইদিন আমি ইন্ডিয়ান ডাক্তারসহ ডাঃ শেফাতুজ্জাহান মেডামের ডিউটিতে ছিলাম। সেটা অফিস জানে। সেটা অফিসেরই ডিউটি। শুধু ওইদিন না, এর বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই আমি ডিউটি করছিলাম। বিষয়টি ট্রান্সপোর্টের জাহাঙ্গীর সাহেব জানেন।

জানতে চাইলে হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ নুরুল হক বলেন, বিষয়টি আমি জানি না, রোগীর নাম এবং ডিটেইলস দেন, খবর নিয়ে বিস্তারিত জানাতে পারবো।

আরও খবর

Sponsered content