বাংলাদেশ

উন্নয়নের সুফল পেতে জনপ্রতিনিধি ও আমলাদের একাত্মতা জরুরি

  প্রতিনিধি ১ জুন ২০২৪ , ৬:০৫:৫০ প্রিন্ট সংস্করণ

উন্নয়নের সুফল পেতে জনপ্রতিনিধি ও আমলাদের একাত্মতা জরুরি
ছবি: সংগৃহীত

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, উন্নয়নের সুফল পেতে জনপ্রতিনিধি এবং আমলাদের একাত্মতা জরুরি। পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ এবং সমন্বয় না থাকলে কর্মক্ষেত্রে প্রতিকূল পরিবেশ তৈরি হয়। যা কখনো দেশের উন্নয়নের জন্য সুফল বয়ে আনবে না। 

শনিবার (১ জুন) সকালে আগারগাঁওয়ে জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউটে বাংলাদেশ গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ ৩য় পর্যায় প্রকল্পের জেলা রিসোর্স টিম (ডি.আর.টি) এর প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, আমাদের দারিদ্র্যের হার তো একসময় ২৫ শতাংশ ছিল। এখন সেটা ১৮ শতাংশ, অতি দরিদ্রতার হার এখন ৫ শতাংশে নেমে এসেছে। এই অর্জন খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। কাজ করতে গেলে পারস্পরিক সহযোগিতা থাকলে, কোনো প্রতিবন্ধকতা না থাকলে অগ্রগতি থামিয়ে রাখা যায় না।

স্থানীয় সরকারের সত্তাগুলোকে শক্তিশালী করার জোর দিতে মন্ত্রী দক্ষিণ কোরিয়ার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, আজকে যে দক্ষিণ কোরিয়াকে আমরা দেখি, এটি আগে এমন ছিল না। এদের অতীতে তিক্ত অভিজ্ঞতা ছিল। তাদের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান ছিল না। যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিল ভঙ্গুর। শুধু তাই নয়, মানবিক প্রয়োজনীয়তার সব উপাদান ছিল অনুপস্থিত। কিন্তু পার্ক চুং হি যখন ক্ষমতায় আসেন, তিনি জনগণের সঙ্গে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হন। সাহসিকতার সঙ্গে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য পূরণে দেশের সব মানুষকে একটি বিনিসুতোয় বাঁধেন। স্থানীয় সরকারের সত্তাগুলোকে শক্তিশালী করেন। আজকে দক্ষিণ কোরিয়া অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ। আমাদেরও তাদের থেকে শিক্ষা নিতে হবে, বলেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, আমাদের গ্রামের কৃষক বা জনপ্রতিনিধির পর্যাপ্ত শিক্ষাগত যোগ্যতা নাও থাকতে পারে, কিন্তু তাকে উপেক্ষা করা যাবে না। একক প্রচেষ্টায় কখনো কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানো যায় না। দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টা জরুরি। 

এতে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মনোজ কুমার রায়।

আরও খবর

Sponsered content