প্রতিনিধি ১৯ জুন ২০২৪ , ৬:৪৯:০৮ প্রিন্ট সংস্করণ
কোরবানির ঈদের টানা পাঁচ দিনের সরকারি ছুটি শেষ হয়েছে মঙ্গলবার। প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদের ছুটি কাটিয়ে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে রাজধানীবাসী।
বুধবার (১৯ জুন) সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন বাস টার্মিনাল ও ট্রেন স্টেশনে মানুষের ভিড় চোখে পড়ছে।
কোরবানির ঈদের ছুটি শেষে আজ থেকে সরকারি-বেসরকারি অফিস, আদালত, ব্যাংকসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো খোলা। ফলে কর্মস্থলে যোগ দিতে বিভিন্ন জেলা থেকে ঢাকায় ফিরে আসছেন মানুষ।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে দেখা যায়, মানুষের উপচেপড়া ভিড়। এই স্টেশনে সকাল থেকেই ছিল যাত্রীর চাপ। সকাল থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত কমলাপুর স্টেশনে সারা দেশ থেকে আন্তঃজেলা ও লোকাল মিলে ২০টি ট্রেন এসেছে। সবগুলো ট্রেনই ছিল যাত্রীতে ভরপুর। ট্রেনে করে ঢাকায় পৌঁছে কিছুটা দেরিতে হলেও অফিসে যোগ দিয়েছেন অনেকে।
পর্যটক এক্সপ্রেসে করে চট্টগ্রাম থেকে সকালে কমলাপুর আসেন ব্যাংক কর্মকর্তা মনজুর হোসেন। তিনি বলেন, কোনো ঝামেলা ছাড়াই এসেছি। এখন দ্রুত অফিসে যেতে হবে। পরিবারের লোকজনকে বাসার পথে গাড়িতে তুলে দিয়ে অফিসে করবো।
তিনি আরও বলেন, অনেক বছর পর লম্বা ছুটি কাটিয়েছি। পরিবারের সবার সঙ্গে গ্রামের বাড়িতে ঈদ করেছি।
সকালে খুলনা থেকে কমলাপুর রেলস্টেশনে এসে পৌঁছায় সুন্দরবন এক্সপ্রেস। এই ট্রেনে ছিল ঢাকা ফেরত মানুষের উপচেপড়া ভিড়। শফিক নামের এক এক যাত্রী বলেন, পরিবারের সঙ্গে থাকতে কার না ভালো লাগে। আরও দুই দিন সময় পেলে আরও ভালো লাগতো। তারপরও পাঁচ দিনের ছুটি কাটিয়ে ফিরলাম। বাসা হয়ে অফিসে যাবো।
সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অরুনিমা হক বলেন, দুদিন পর থেকে আমাদের ক্যাম্পাস খোলা। কয়েকদিন পরেই পরীক্ষা শুরু হবে। তাই দ্রুত ঢাকায় ফিরেছি। গ্রামের বাড়িতে সবার সঙ্গে অনেক আনন্দ করে ঈদ উদযাপন করেছি।
আরেক যাত্রী তাজিন বলেন, ট্রেনে অনেক ভিড়। এক থেকে দেড় ঘণ্টা সময় দেরি হয়েছে। ১০টার ট্রেন সাড়ে ১১টার এসেছে। তারপরও নিরাপদে এসেছি, আলহামদুলিল্লাহ্।
কমলাপুর রেলস্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, গতকাল মঙ্গলবার থেকেই ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছে নগরবাসী। তবে আজ মানুষের সংখ্যা অনেক বেশি। বিশেষ করে অফিসগামী মানুষেরা ঢাকায় ফিরে কর্মস্থলে যোগ দিচ্ছেন। আগামী বৃহস্পতি ও শুক্রবার ঢাকায় ফেরা মানুষের সংখ্যা আরও বাড়বে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
এদিকে সকাল থেকেই প্রচুর মানুষ ঢাকায় ঢুকছেন জানিয়ে সিএনজিচালক মনির হোসেন বলেন, সকাল থেকে মহাখালী টার্মিনাল আর গাবতলীতে ছিলাম। ভালোই যাত্রী আসতে দেখলাম। ট্রিপও ভালো পাচ্ছি। এবার ঈদে বাড়ি যাইনি। ঈদের সময়ে দিনরাত কষ্ট করে গাড়ি চালিয়েছি। কিছু টাকা জমিয়েছি। ছেলে মেয়েদের জন্য নতুন জামা কাপড় কিনেছি। সামনের শুক্রবার বাড়ি যাবো। দোয়া করবেন।