প্রতিনিধি ৮ জুলাই ২০২৪ , ৬:২৪:৩০ প্রিন্ট সংস্করণ
ইউক্রেনজুড়ে দিনদুপুরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। সোমবার (৮ জুলাই) পরিচালিত এই হামলায় অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছেন। ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা বলেছেন, কিয়েভের একটি শিশু হাসপাতালে ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, রুশ বাহিনী ৪০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। এতে বিভিন্ন শহরে অবকাঠামো, বাণিজ্যিক ও আবাসিক ভবনগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
কিয়েভ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রাজধানীতে হামলায় সাতজন নিহত এবং অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। জেলেনস্কির নিজ শহর ক্রিভি রিহ-তে ১০ জন নিহত এবং ৩১ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন মেয়র অলেক্সান্ডার ভিলকুল।
পূর্ব ইউক্রেনের পোকরভস্ক শহরে একটি শিল্প স্থাপনায় আঘাতের কারণে আরও তিনজন মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন ডনেস্ক অঞ্চলের গভর্নর।
টেলিগ্রামে জেলেনস্কি বলেছেন, যত বেশি সম্ভব মানুষকে বাঁচানোর জন্য সব সেবা সক্রিয় রয়েছে। পুরো বিশ্বকে তার সব দৃঢ়তা ব্যবহার করে রুশ হামলার অবসান ঘটাতে হবে।
রাশিয়া বারবার বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু করার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
এ হামলার সময় হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর ওরবান চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর সঙ্গে সম্ভাব্য ইউক্রেনে শান্তি চুক্তি নিয়ে আলোচনা করতে বেইজিং-এ একটি অপ্রত্যাশিত সফর করছিলেন।
কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিটশকো বলেছেন, রাজধানীতে এই হামলাটি রাশিয়ার ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে আক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে সবচেয়ে বড় হামলাগুলোর মধ্যে একটি।
তিনি জানান, শহরের প্রধান শিশু হাসপাতালটি এই হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জানালাগুলো ভেঙে গেছে এবং প্যানেলগুলো ছিটকে পড়েছে। অভিভাবকেরা শিশুকে ধরে হতবাক ও কান্নাকাটি করতে করতে রাস্তায় বেরিয়ে আসছিলেন।
৩৩ বছর বয়সী সিতলাকা ক্রাভচেঙ্কো বলেছেন, আমরা একটি বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছি। তারপর আমাদের ওপর ধ্বংসাবশেষ ছিটকে পড়েছে।
তিনি ও তার স্বামী ভিক্টর আশ্রয় থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন। তাদের দুই মাসের শিশু নিরাপদ ছিল, কিন্তু সিতলানা আহত হয়েছে। তাদের গাড়িটি হাসপাতালের পাশে ধ্বংসাবশেষে চাপা পড়েছিল।
তার কথায়, ভয়ংকর ছিল। আমি শ্বাস নিতে পারছিলাম না। আমি আমার শিশুকে ঢেকে রাখার চেষ্টা করছিলাম।
স্থানীয় ও আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই হামলায় কিয়েভ, ক্রিভি রিহ, ডনিপ্রো, পোকরভস্ক, ক্রামাতোরস্ক এবং অন্যান্য এলাকায় শিল্প-কারখানা, অবকাঠামো এবং আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবনগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সূত্র: রয়টার্স