প্রতিনিধি ২৮ জুলাই ২০২৪ , ৪:৩৩:৩৩ প্রিন্ট সংস্করণ
গোপালগঞ্জে রোপা আমন ধানের আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য ২ হাজার ৪০০ কৃষকের মধ্যে প্রণোদনার বীজ এবং সার বিতরণ করা হয়েছে। এসব বীজ ও সার দিয়ে কৃষকরা ২ হাজার ৪০০ বিঘা জমি চাষাবাদ করে ধানের উৎপাদন বৃদ্ধি করবেন।
কৃষক প্রতি ৫ কেজি করে রোপা আমন ধানের উফশী জাতের বীজ, ১০ কেজি করে ডিএপি ও এমওপি সার ৫ উপজেলার প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র কৃষকের হাতে তুলে দিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাফরোজা আক্তার বলেন, ইতোমধ্যে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ৫৫০ জন কৃষকের মাঝে প্রণোদনার বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। এসব বীজ পেয়ে কৃষক বীজতলা তৈরি করেছে। কয়েক দিনের মধ্যে সদর উপজেলায় আমন আবাদের ধূম পড়বে।
গোপালগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক সঞ্জয় কুমার কুন্ডু বলেন, প্রণোদনার বীজ ও সার দিয়ে জেলার ২ হাজার ৪০০ কৃষক ২ হাজার ৪০০ বিঘা জমিতে রোপা আমান ধানের আবাদ করবেন। এতে জেলায় আমন ধানের আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।
গোপালগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আব্দুল কাদের সরদার বলেন, প্রণোদনা কর্মসূচীর আওতায় গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ৫৫০ জন কৃষকরে মধ্যে ২ হাজার ৭৫০ কেজি ধানবীজ, ৫ হাজার ৫০০ কেজি ডিএপি সার এবং ৫ হাজার ৫০০ কেজি এমওপি সার বিতরণ করা হয়েছে।
মুকসুদপুর উপজেলায় ৪৮০ জন কৃষকের মধ্যে ২ হাজার ৪০০ কেজি ধানবীজ, ৪ হাজার ৮০০ কেজি কেজি ডিএপি সার ও ৪ হাজার ৮০০ কেজি এমওপি সার দেওয়া হয়েছে।
কাশিয়ানী উপজেলায় ৪৭০ জন কৃষকের মাঝে ২ হাজার ৩৫০ কেজি ধানের বীজ, ৪ হাজার ৭০০ কেজি ডিএপি সার ও ৪ হাজার ৭০০ কেজি এমওপি সার বিতরণ করা হয়েছে।
কোটালীপাড়া উপজেলায় ৫০০ জন কৃষকের মধ্যে ২ হাজার ৫০০ কেজি ধান বীজ, ৫ হাজার কেজি ডিএপি সার ও ৫ হাজার কেজি এমওপি সার বিতরণ করা হয়েছে।
টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় ৪০০ জন কৃষক পেয়েছেন ২ হাজার কেজি ধান বীজ, ৪ হাজার কেজি ডিএপি সার ও ৪ হাজার কেজি এমওপি সার।