চট্টগ্রাম

ছাত্র সমাজকে সাহসিকতার সাথে এগিয়ে যাওয়ার আহবান হেফাজত আমীরের

  প্রতিনিধি ৩ আগস্ট ২০২৪ , ৬:৪৮:৩৩ প্রিন্ট সংস্করণ

ছাত্র সমাজকে সাহসিকতার সাথে এগিয়ে যাওয়ার আহবান হেফাজত আমীরের

কোটা সংস্কার  আন্দোলনে শাহাদাত বরণকারী ছাত্র জনতার রুহের মাগফিরাত ও আইন শৃংখলা বাহিনী ও সন্ত্রাসীদের গুলিতে আহতদের সুস্থতা কামনায় এবং ফিলিস্তিনের হামাস নেতা শহীদ ইসমাইল হানিয়ার মাগফিরাত কামনায় দোয়া কর্মসূচি করেছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।

০২ আগস্ট বাদ আছর চট্টগ্রাম জামিয়া আজিজুল উলুম বাবুনগরে অনুষ্ঠিত এক দোয়া মাহফিলে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা শাহ  মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী বলেছেন, শহীদদের রক্তের পথ বেয়েই এদেশে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা পাবে। কোটা আন্দোলন এখন ছাত্রজনতা হত্যার বিচারের দাবিতে রূপ নিয়েছে এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। শিক্ষার্থীদের আন্দোলন এখন আর কোটা নিয়ে নয়; ছাত্রহত্যার বিচারের দাবিতে পরিণত হয়েছে।

দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও এমন নৃশংস হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদ ও নিন্দা ছড়িয়ে পড়েছে। এই শাসকগোষ্ঠীর হাতে ছাত্রহত্যার বিচার আকাশ-কুসুম কল্পনা মাত্র। ৫ মের শাপলা চত্বরে শহীদ হেফাজতকর্মী ও মাদরাসাছাত্রদের খুনের বিচার গত দশ বছরেও করা হয়নি। এক্ষেত্রে সরকারের কোনো বিকার নেই; অনুতাপ নেই। বরং বারবার নির্দয় অস্বীকারের দুঃসাহস দেখেছি আমরা। সুতরাং, হত্যাকারীর কাছে হত্যার বিচার চেয়ে কোনো প্রতিকার আসবে না। এই জালিম শক্তির ধ্বংস ছাড়া এদেশে ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করা যাবে না। তার মিথ্যা আশ্বাসে প্রতারিত হবেন না।

আল্লামা মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী বলেন, আজকে নির্বিচার গুলি, গণগ্রেপ্তার, গুম ও অন্যায়-জুলুমের বিরুদ্ধে এবং ছাত্রহত্যার বিচারের দাবিতে দল-মত নির্বিশেষে সবাই ঐক্যবদ্ধ। আমাদেরও অকুণ্ঠ সমর্থন রয়েছে। আমরা রক্তে ভেদাভেদ করি না। ন্যায়ের পক্ষে এবং জুলুম-বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নিহতরা শহীদ। আর শহীদদের রক্ত কখনো বৃথা যায় না। তাদের রক্তের পথ বেয়েই আমাদের জাতীয় জীবনে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা পাবে, ইনশাআল্লাহ। আমি ছাত্র সমাজকে সাহসিকতার সাথে এগিয়ে যাওয়ার আহবান জানাচ্ছি।  

তিনি বলেন, হেফাজতে ইসলাম ও প্রতিবাদী আলেমসমাজকে দমিয়ে রাখার চেষ্টা এখনো চলমান। মিথ্যা মামলা-মোকদ্দমার বেড়াজালে ফেলে আলেমদের হয়রানি বন্ধ করতে হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে সমস্ত রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। ভয়ভীতি দেখিয়ে এবং হয়রানি করে নবীর উত্তরসূরীদের দাবিয়ে রাখা যাবে না।

দোয়া মাহফিলে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা শাইখুল হাদীস আল্লামা  হাফেজ হাবীবুল্লাহ বাবুনগরী, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মীর ইদরীস, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা নাছির উদ্দিন মুনীর, সহকারী মহাসচিব মাওলানা জাকারিয়া নোমান ফয়েজী, হেফাজত কেন্দ্রীয় নেতা মুফতি মাহমুদুল হাসান গুনবী, মাওলানা মুহাম্মদ বাবুনগরী, মুফতী ইসমাইল প্রমুখ।