প্রতিনিধি ৮ আগস্ট ২০২৪ , ৩:৪৪:৪৫ প্রিন্ট সংস্করণ
কুড়িগ্রামের উলিপুরে আমিনুল ইসলাম’র গোয়াল ঘরে আগুনে পুড়ে ৫টি গরু ৩টি ছাগল আগুনে পুড়ে ছাই হয়েছে। এতে প্রায় আট থেকে দশ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৮ আগষ্ট) রাত দুইইটায় গুনাইগাছ ইউনিয়নের শুকদেবকুন্ড এলাকায় এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ সময় আমিনুল ইসলাম গবাদিপশু উদ্ধারের জন্য গোয়াল ঘরে প্রবেশ করলে তার শরিরের বিভিন্ন অংশ পুড়ে যায়। আগুনের তীব্রতা থাকায় গরু উদ্ধার করতে ব্যার্থ হন।
এলাকাবাসী ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, আমিনুল ইসলাম তার গরু গুলোকে মশার উপদ্রব থেকে রক্ষা পেতে প্রতিদিনের মতো সন্ধ্যায় গোয়াল ঘরে মশার কয়েল দেন। সেখান থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে জানান তারা। বৃহস্পতিবার রাত দুইটার দিকে হঠাৎ গোয়াল ঘরে আগুন জ্বলতে দেখে পরিবারের সদস্যদের আত্মচিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। সেই আগুনে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা মূল্যের ৫টি গাভী ও ৩টি ছাগল পুড়ে ছাই হয়ে যায়। পাশাপাশি গোয়াল ঘরটির কাঠামো পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে প্রায় ৮ থেকে ১০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবী করেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার।
ক্ষতিগ্রস্ত আমিনুলের স্ত্রী নাসিমা বেগম জানান, প্রতিদিনের ন্যায় গোয়াল ঘরে কয়েল দেয়া হয়। গোয়াল ঘরে পাটখড়ি রাখা ছিলো। হয়তো গোয়াল ঘরে থাকা ছাগল কয়েলের উপরে লাফ দিলে কয়েল পাটখড়ির উপরে পরে আগুন লেগে যায়। এতে করে ৫টি গাভী ৩টি ছাগল মারা যায়। তার সাথে গোয়াল ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে প্রায় ৮ থেকে ১০ লক্ষ টাকার গবাদিপশু ক্ষতি হয়। তিনি আরও বলেন, আমরা কৃষি কাজ করে খাই। গরু ছাগলই আমাদের একমাত্র সম্পদ। আগুন আমাদের নিঃস্ব করে দিলো। আমরা কিভাবে সংসার চালাবো। আর কোনো পথ রইলো না বলে কেঁদে ফেলেন।
উলিপুর ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার আব্বাস আলী বলেন, অগ্নিকাণ্ডের খবর আমদেরকে দেয়া হয়নি। অগ্নিকান্ডের খবর পেলে ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ করলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কম হতো। হয়তো স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছেন বলে জানান তিনি।