প্রতিনিধি ১৩ আগস্ট ২০২৪ , ৭:৫৬:৩৮ প্রিন্ট সংস্করণ
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে নিখোজের ৭ দিন পর ছায়েদ আলম (৩৫) নামে এক যুবদল কর্মীর খন্ডবিখন্ড লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৩ আগষ্ট) বিকাল ৫ টায় সোনা পাহাড় 909 ব্রিকফিল্ড থেকে প্রায় এক কিলোমিটার পুর্বে দূর্গা ঘোনা নামক পাহাড়ের পাদদেশে তার লাশ পাওয়া যায়। খুন হওয়া যুবক জোরারগঞ্জ থানার সদর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড দক্ষিণ সোনা পাহাড় মোঃ দেলোয়ার হোসেন কেরানীর ছেলে। সেনাবাহিনীর মেজর আরেফিন এর নেতৃত্বে জোরারগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে লাশ উদ্ধার কার্যক্রম চালায়।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের দিন ৬ আগষ্ট মঙ্গলবার রাত ১১ পর্যন্ত বিজয় মিছিল করে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের সাথে। মিছিল শেষে বাড়ি ফিরে যাওয়ার সময় নিখোঁজ হয়। এর পর থেকে তাকে গত ৭ দিন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পাহাড়ি এলাকায় আজ তার খন্ডিত লাশ পাওয়া যায়। নিহতের এক আত্মীয়ের মাধ্যমে জানা যায়, ছায়েদ বিএনপি করলেও তেমন কোন পদপদবি ছিল না। ঘটনার দিন রাত ১১ টায় ও তাকে আনন্দ করতে দেখা গেছে।
মিরসরাই উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শাহিদুল ইসলাম নিহত ছায়েদ কে নিজেদের কর্মী নিশ্চিত করে জানান, পেচিষ্ট হাসিনা সরকারের খুনি বাহিনী তাদের পরাজিত দেখে আমাদের নেতা কর্মীদের উপর চোরা গুপ্তা হামলা ও হত্যার নেশায় মেতে উঠেছে। ছায়েদ একজন ওয়ার্ড কর্মী মাত্র। হায়েনার দল ছাত্রলীগ ও যুবলীগের খুনি সন্ত্রাসীরা সুযোগ বুঝে তাকে অপহরণ করে পাহাড়ে নিয়ে হত্যা করেছে। তারা হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি তাদের জুলুম ও নির্যাতনের চিহ্ন তাদের চরিত্র প্রকাশ করার জন্য মৃত্যুর পর ছায়েদের লাশ নিসংশ ভাবে খন্ডবিখন্ড করে দিয়েছে। আমরা শান্তি বজায় রাখার চেষ্টা করছি আমাদের নেতাকর্মীদের শান্ত রাখার চেষ্টা করছি আর তারা আমাদের নেতাকর্মীদের গুপ্ত হত্যা করে পরীস্থীতিকে উত্তপ্ত করার চেষ্টা করছে। তবু আমরা হত্যার বদলা নেবো না কিন্তু আমরা উপযুক্ত বিচার চাই। প্রশাসন খুনিদের শনাক্ত করে উপযুক্ত বিচার না করলে আমরা দাঁত ভাঙ্গা জবাব দেব।
জোরারগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল হারুন জানান, সেনাবাহিনীর সহায়তায় পুলিশ সদস্যরা লাশ উদ্ধারে কাজ করছে।
দেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে জোরারগঞ্জ থানা এলাকায় জন নিরাপত্তার দায়িত্ব প্রাপ্ত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেজর আরেফিন জানান, থানা পুলিশ ও সেনা সদস্যদের নিয়ে লাশ উদ্ধারে কাজ করছেন তারা।