প্রতিনিধি ১৪ আগস্ট ২০২৪ , ৭:১৯:১৬ প্রিন্ট সংস্করণ
পার্বত্য জেলা বান্দরবানে সন্ত্রাস বিরোধী পাহাড়ি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) এর বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান এখনো চলমান আছে বলে জানিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সুত্রগুলো।
গত কিছুদিন ধরে দেশব্যাপী বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রেক্ষিতে সহিংস পরিস্থিতি মোকাবেলায় সেনাবাহিনীর প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণের কারণে বান্দরবানে কেএনএফ এর বিরুদ্ধে যৌথ অভিযানে কিছুটা কমতি দেখা গেলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায় বর্তমানে রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়ি এলাকায় সেনা ক্যাম্প সমূহকে কেএনএফ বিরোধী অভিযানের জন্য আরো ব্যাপক ভাবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
অতিসত্বর কেএনএফ এর বিরুদ্ধে পূর্বের ন্যায় পূর্ণ গতিতে অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সুত্র গুলো।
প্রসঙ্গত গত ২ ও ৩ এপ্রিল রুমা ও থানচি উপজেলায় সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে হামলা,টাকা ও পুলিশ আনসার সদস্যের অস্ত্র লুট এবং সোনালী ব্যাংক ম্যানেজার কে অপহরণের মতো ন্যাক্কার জনক ঘটনা ঘটিয়েছে পাহাড়ি বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী সংগঠন কেএনএফ।
এরই প্রেক্ষিতে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথবাহিনী কেএনএফ এর বিরুদ্ধে অভিযানে নামে। কেএনএফ এর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কারনে পার্বত্য বান্দরবানের পর্যটন শীল্পের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যাবসায়িরা। সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে অচিরেই তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধ করে আবারো পাহাড়ে সুদিন ফিরে আসবে বলে আশা করছেন সাধারণ মানুষ।
এ পর্যন্ত রুমা থানায় ১৪টি, থানচি থানায় ৪টি, বান্দরবান সদর থানায় ১টি এবং রোয়াংছড়ি থানায় ৩টি’সহ মোট ২২টি মামলায় অভিযোগের প্রেক্ষিতে ১১৬ জনকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত।
বর্তমানে এ অভিযান আরো বৃদ্ধি করে পার্বত্য অঞ্চলে পূনরায় শান্তি প্রতিষ্ঠা করা হবে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।