প্রতিনিধি ১৮ আগস্ট ২০২৪ , ৬:৪৩:১৮ প্রিন্ট সংস্করণ
কুড়িগ্রামের উলিপুরে ফাঁসিতে ঝুলে রোমানা আক্তার (১৫) নামের এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে, রোববার (১৮ আগস্ট) দক্ষিণ খামার বজরা বীরপাড়া এলাকায়। এদিকে নাবালিকা গৃহবধুর আত্মহত্যার ঘটনায় ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গুনাইগাছ ইউনিয়নের গৌরিবল্লভ এলাকার রবিউল ইসলামের অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া কন্যা রোমানা আক্তার (১৫) এর সাথে পার্শ্ববর্তী বজরা ইউনিয়নের দক্ষিন খামার বজরা বীরপাড়া এলাকার মমিনুল বীরের ছেলে রানা বীর (২২) এর সাথে প্রায় ৭ মাস পূর্বে বিবাহ হয়।
রোববার দুপুরে রোমানার শাশুরি বাহির থেকে এসে ঘরের দরজা বন্ধ দেখতে পান। এরপর ডাকাডাকি করে কোন সাড়া না পেয়ে জানালা দিয়ে দেখতে পান শয়ন ঘরের আড়ার সাথে রশি দিয়ে গলায় ফাস লাগিয়ে পুত্রবধূ ঝুলে আছেন। এ সময় বাড়িতে কেউ না থাকায় তার ডাকচিৎকারে প্রতিবেশিরা এগিয়ে এসে ঘরের দরজা ভেঙ্গে গৃহবধূকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করেন।
পরে বিকালে থানা পুলিশ খবর পেয়ে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। নিহতের স্বজন সূত্রে জানা গেছে, রোমানা আক্তার গুনাইগাছ রহমানিয়া দাখিল মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। তারা আরও জানান, তার স্বামী রানা বীর ১৮ দিন পূর্বে কাজের সুবাধে ঢাকায় যান। তিনি সেখানে পোশাক কারখানায় কর্মরত আছেন।
নিহত গৃহবধূর নানা হাবিবর রহমান (৫৬) বলেন, নাতনি রোমানা আক্তারের ফাসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করার কোন কারন খুঁজে পাচ্ছে না তারা। বিষয়টিকে রহস্যজনক মনে হচ্ছে তাদের। ঘটনার সঠিক তদন্ত করলে হয়তো প্রকৃত সত্য বেড়িয়ে আসবে বলে তাদের ধারনা।
বজরা ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ডের সদস্য লুৎফর রহমান ফাঁসিতে ঝুলে গৃহবধূ আত্মহত্যার বিষয়টি শুনেছেন বলে জানান।
উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।
গৃহবধূর মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম মর্গে পাঠানো হবে। ময়না তদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। এ ঘটনায় প্রাথমিক ভাবে একটি ইউডি মামলা দায়ের করা হয়েছে।