প্রতিনিধি ৫ অক্টোবর ২০২৪ , ৪:০৭:০৪ প্রিন্ট সংস্করণ
মাত্র ৫ দিনের ব্যবধানে দেশের জ্বালানি তেল লাইটারিং কাজে নিয়োজিত দুইটি অয়েল ট্যাংকারই বিস্ফোরণ এবং অগ্নিকান্ডে অচল হয়ে পড়াকে নাশকতা হতে পারে বলে সন্দেহ পোষণ করছে বিএসসি। দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা বিঘ্নিত করতে কোন চক্র বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের জাহাজকেই টার্গেট করেছে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
শনিবার (৫ অক্টোবর) সকালে চট্টগ্রামে সম্মেলন করেন বিএসসি ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমোডর মাহমুদুল মালেক এম সন্দেহের কথা তুলে ধরেন। দেশের জ্বালানি নিরাপত্তাকে ঝুঁকিতে ফেলতে এই নাশকতা চালানো হতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা করছেন।
বিএসসির এমডি বলেন, ‘জাহাজে অগ্নিকান্ডের সময় সমুদ্র খুব উত্তাল ছিল। বাতাসের গতিবেগ বেশি থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা কষ্টকর হয়ে পড়েছিলো। অল্প সময়ের মধ্যে নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাতটি টাগবোট একযোগে অপারেশন পরিচালনা করে। প্রায় দেড়ঘন্টায় অগ্নি নির্বাপন করার পরে বাতাসের কারণে সামনের দিকের ভেতর থেকে আবার আগুন জ্বলে ওঠে।
‘জাতীয় জ্বালানির জন্য ব্যাক টু ব্যাক (পর পর) এ ধরনের দুটি ঘটনা হুমকিস্বরূপ’ বলে সংবাদ সম্মেলনে মন্তব্য করেছেন শিপিং করপোরেশনের এমডি কমডোর মাহমুদুল মালেক। ‘এমটি বাংলার সৌরভ’ জাহাজে আগুন লাগার পর আগ দিয়ে জাহাজটির পাশ থেকে একটি স্পিডবোট সরে যাওয়ার ঘটনা নাশকতার ব্যপারটিকে সামনে নিয়ে আসে বলেও তারা দাবি করেন।
তিনি বলেন, ‘বাংলার সৌরভ জাহাজে তেল ছিল ১১ হাজার ৫৫ টন। জাহাজে সর্বমোট জনবল ছিল ৪৮ জন। অগ্নিকান্ডের ঘটনার পর কিছু ক্রু অন্য বোটে এবং কেউ পানিতে ঝাঁপ দেয়। সবাইকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়। শুধু একজন স্টুয়ার্ড ছিলেন বয়স্ক। উনার নাম ছাদেক মিয়া। উনার বাড়ী নোয়াখালী বয়স ঊনষাট বছর। তীরে পৌঁছানোর পরও উনার সেন্স ছিল। ট্রমাজনিত কারণে হাসপাতালে নেয়ার পথে বা হাসপাতালে নেয়ার পর তিনি মারা যান। যাদের রেসকিউ করা হয়েছে, তাদের কেউ তেমন আহত হয়নি।
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১টার দিকে পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত এলাকায় মধ্যসাগরে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের ‘বাংলার সৌরভ’ জাহাজে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। পুরো প্রায় চার ঘণ্টা ধরে নৌ-বাহিনী, কোস্ট গার্ড ও বন্দর কর্তৃপক্ষের যৌথ চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এ সময় ৪৭ জন ক্রুকে জীবিত উদ্ধার করেছে নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ডের উদ্ধারকারী দল।