প্রতিনিধি ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪ , ৭:২৬:২৭ প্রিন্ট সংস্করণ
চাচাকে বাবা হিসেবে দেখিয়ে কোটায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে উচ্চ শিক্ষা শেষ করেছেন। বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে প্রশাসন ক্যাডার হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পর্যন্ত পদোন্নতিও পেয়েছেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা, মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের পর দুর্নীতি দমন কমিশন তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় নওগাঁর আত্রাই উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ মামলা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুদকের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. আক্তার হোসেন। বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের ৩৫ ব্যাচের কর্মকর্তা কামাল হোসেন বর্তমানে সিনিয়র সহকারী সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তা।
যদিও নিজের বিরুদ্ধে আসা এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এই কর্মকর্তা। প্রতিপক্ষ একটি গ্রুপ মিথ্যা অভিযোগ মন্ত্রণালয় ও দুদকে দিয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, কামাল হোসেন মুক্তিযোদ্ধা চাচাকে বাবা এবং চাচীকে মা পরিচয় দিয়ে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি এবং পরবর্তীতে বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারে চাকরি নেওয়ার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
তার বিরুদ্ধে মামলায় অভিযোগ করা হয় যে, তিনি সুকৌশলে তার প্রকৃত পিতা-মাতার পরিবর্তে আপন চাচা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আহসান হাবীব এবং চাচী মোছা. সানোয়ারা খাতুনের নাম ব্যবহার করে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি এবং চাকরি লাভসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে আসছেন।
তবে তার প্রকৃত বাবা মো. আবুল কাশেম ও মা মোছা. হাবীয়া খাতুন মুক্তিযোদ্ধা নন জানিয়ে এজাহারে আরও বলা হয়, ইতোপূর্বে এ বিষয়ে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা অধিদপ্তর ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে পৃথকভাবে তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়।
মামলা তদন্তে মো. কামাল হোসেনের ডিএনএ টেস্টেরও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে এজাহারে বলা হয়েছে। মামলায় আসামির বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
এদিকে মামলার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আত্রাইয়ের ইউএনও মো. কামাল হোসেন বলেন, আমার বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষ একটি গ্রুপ মিথ্যা একটি অভিযোগ মন্ত্রণালয়ে এবং পরে হয়তো দুদকে জমা দিয়েছিল। আমি অভিযোগের বিপরীতে মন্ত্রণালয়ে সংশ্লিষ্ট নথিপত্র জমা দিয়েছি। আমি তাদের শুনানিতেও অংশ নিয়েছি। আমার তো কোনও জাল নথিপত্র নেই। তারপরও কেন মামলা হল, সেটা তো আমারও প্রশ্ন।