প্রতিনিধি ২৪ এপ্রিল ২০২০ , ৪:১৭:৫৭ প্রিন্ট সংস্করণ
হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণরোধের একমাত্র উপায় গৃহবন্দি থাকা। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণরোধে গত ২৬ মার্চ হতে জনসমাগম ও অবাধ চলাফেরায় দেশের প্রতিটি স্থানে রয়েছে সরকার বিধি নিষেধ । সেই সাথে হাটহাজারী উপজেলাকে করোনা ঝুঁকিমুক্ত রাখতে ২০ এপ্রিল হতে হাটহাজারীতে লকডাউন কার্যকর করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
সামজিক দুরুত্ব নিশ্চিতকরণে নিয়মিত অভিযান আর মানুষের মাঝে সতকর্তা সৃষ্টিতে কাজ করে যাচ্ছে প্রশাসনের দুটি ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেই সাথে চলছে পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর নিয়মিত টহল। তারপরও এক শ্রেণির মানুষ সরকারি এ বিধি নিষেধ তোয়াক্কা না করে প্রশানের সাথে লুকোচুরির মধ্য দিয়ে জনসমাগম সৃষ্টি করে প্রতিনিয়ত করোনা ঝুঁকিকে অবহেলা করে যাচ্ছে।
২৩ এপ্রিল উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান, হাট-বাজার, খেলার মাঠ, বিভিন্ন পাড়ার অলিগলি ঘুরে চোখে পড়ে সামাজিক দুরুত্ব বজায় না রাখার দৃশ্য। বিশেষ করে বিকালে খেলার মাঠগুলোতে জনসমাগম নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে প্রশাসন। প্রশাসন বিভিন্ন সময় এসব খেলার মাঠে অভিযান চালালেও প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেয়ে সাময়িক পালিয়ে যায় কিশোরেরা।
প্রশাসন উক্ত স্থান ত্যাগ করার সাথে সাথে আবার জমে উঠছে খেলার মেলা। এভাবে প্রতিদিন উপজেলার শত শত কিশোর করোনা ঝুকি নিয়ে খেলা করছে মাঠে। অন্যদিকে পাড়ার প্রতিটি অলিতে গলিতে আড্ডা তো আছেই। পাড়ার চায়ের দোকান গুলোতে নানা কৌশলে ভিড় করছে স্থানীয় মানুষ।
ইতোমধ্যে প্রশাসন বিভিন্ন সময় অভিযান পরিচালনা করা বেশ কয়েকটি চায়ের দোকান বন্ধ করে। বিভিন্ন সড়কে অবাধে চলাচল করছে রিক্সা ও সিএনজি বেবী টেক্সি। গাড়ি চলাচল নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন বিভিন্ন সময় এসব গাড়ি চালকে জরিমানা সহ বিভিন্ন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। উপজেলার আমানবাজার, চৌধুরী হাট, হাটহাজারী বাজার, সরকার হাট, কাটিরহাটসহ বিভিন্ন কাঁচাবাজারগুলো ঘুরে মানুষের ভীড় লক্ষ্য করা যায়। নানা অজুহাতে মানুষ প্রতিদিন বাজারে আসছে। মানুষের এসব অজুহাত সামাল দিয়ে সামাজিক দুরুত্ব বজায় রাখতে অনেকটা বেকায়দায় পড়ছে প্রশাসন।
শত চেষ্টার পরও উপজেলার মানুষকে করোনা বিষয়ে তেমন একটা সচেতন করা যাচ্ছে না উল্লেখ করে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মাদ রুহুল আমিন বলেন, হাটহাজারীর মানুষ করোনাকে বিশ্বাস করতে চাইনা। সামাজিক দুরুত্ব নিশ্চিত করতে প্রশাসনের চলমান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, করোনা ঝুঁকিরোধে প্রশানের গৃহিত প্রতিটি পদক্ষেপকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বাড়াবাড়ি মনে করছেন এলাকাবাসী। যেসব কিশোরেরা প্রশাসনের বিধি নিষেধ অমান্য করে মাঠে খেলাধুলা করছে তাদের তালিকা তেরি করা হচ্ছে এবং খুব শ্রীঘ্রই তালিকানুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।