প্রতিনিধি ২৭ জানুয়ারি ২০২৫ , ৮:২০:৫৪ প্রিন্ট সংস্করণ
ইভিএমের মাধ্যমে রাষ্ট্রের ৪ হাজার কোটি টাকা নষ্ট করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। এ দাবি করে দুদক বলছে, অভিযানে সব মেশিন নিম্নমানের ও অকার্যকর অবস্থায় পাওয়া গেছে। হদিস মেলেনি ১৬০০ ইভিএমের। এই অর্থ অপচয়ে জড়িত ও পরামর্শদাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া বিভিন্ন বিমানবন্দর নির্মাণে ৮১২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টার তারিক সিদ্দিকীসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ৪টি মামলা করেছে সংস্থাটি।
বিএনপিসহ বিরোধী দলের মত উপেক্ষা করে ২০১৮ সালে ৩ হাজার ৮২৫ কোটি ২৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ইভিএম প্রকল্প চালু করে নির্বাচন কমিশন। প্রতিটি মেশিন কিনতে খরচ হয় ২ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। জীবনকাল কমপক্ষে ১০ বছর ধরা হলেও নষ্ট হয়ে যায় তার আগেই।
পট পরিবর্তনের পর ইভিএম মেশিন ব্যবহার না করার ঘোষণা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এরইমাঝে ইভিএম প্রকল্পের বাস্তবচিত্র দেখতে দুদকের অভিযানে দেখা যায়, বেশিরভাগ মেশিন নিম্নমানের ও অকার্যকর। হদিস মেলেনি অন্তত ১৬০০ মেশিনের। এর পরিপ্রেক্ষিতে এ প্রকল্পে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান সংস্থাটি মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন (প্রতিরোধ)।
আজ সোমবার (২৭ জানুয়ারি) ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ এসব মামলা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুদকের মহাপরিচালক। দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন বলেন, ‘ইভিএম মেশিনগুলো অযত্নে-অবহেলায় পড়ে আছে। যেগুলো বাহ্যিক দৃষ্টিতে কর্মক্ষম বলে মনে হয়নি। যাছাইকালে মেশিনগুলোর যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা গেছে, যাতে এগুলো যে নিম্নমানের মেশিন সেদিকে ইঙ্গিত করে।
এদিন শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ কয়েকটি বিমানবন্দরের উন্নয়ন প্রকল্প থেকে ৮১২ কোটি টাকা লুটপাটের অভিযোগে ৪টি মামলা করেছে দুদক। আসামির তালিকায় রয়েছেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামরিক উপদেষ্টা তারেক সিদ্দিকী, সাবেক বিমান সচিব মহিবুল হক, সাবেক বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এম মফিদুর রহমানসহ সংশ্লিষ্টরা।
দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন বলেন, ‘বিদেশি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের আড়ালে স্থানীয় প্রতিষ্ঠান অ্যারোনেস ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের মাধ্যমে কাজ করে প্রায় ২০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ১০ জনের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির সংশ্লিষ্ট ধারায় এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে আজ একটি মামলা রুজু হয়েছে।’
দুদকের দাবি, বিভিন্ন বিমানবন্দরে অ্যারোনেস ইন্টারন্যাশনালকে বেআইনিভাবে প্রকল্পের কাজ পেতে সহযোগিতা করেন তারেক সিদ্দিকীসহ অন্যরা।