চট্টগ্রাম

দোকানঘর নির্মাণ কাজে বাঁধা, ভাংচুরের প্রতিবাদে বাঁশখালীতে ব্যবসায়ীর সংবাদ সম্মেলন

  প্রতিনিধি ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ , ৪:১২:৪৭ প্রিন্ট সংস্করণ

দোকানঘর নির্মাণ কাজে বাঁধা, ভাংচুরের প্রতিবাদে বাঁশখালীতে ব্যবসায়ীর সংবাদ সম্মেলন

চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার ছনুয়া কাদেরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জামাল হোসেন এর বিরোদ্ধে ছাত্র-ছাত্রীদের ব্যবহার করে দোকানঘর নির্মাণ কাজে বাঁধা ও ভাংচুরের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী আলহাজ্ব নাছির উদ্দিন।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বাঁশখালী পৌরসভাস্থ লক্ষি স্কয়ারের দ্বিতীয় তলায় আরবান রেস্টুরেন্টে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে দোকানঘর নির্মাণের সময় রাজ মেস্ত্রিকে কাজে বাধা প্রদান এবং ভাংচুরের অভিযোগসহ উল্টো মিথ্যা ও হয়রানীমূলক মামলার অভিযোগ তুলে ধরেন নাছির উদ্দিনের পুত্র মো. নাজেম উদ্দীন।

এ সময় সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নাজেম উদ্দীন বলেন, ‘১৯৯৬ সালে ছনুয়া কাদেরিয়া উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ থেকে অন্যান্য সাওদাগরের মতো একটি জায়গা ভাড়া নিয়ে নিজ উদ্যোগে মাটি ভরাট করে তথায় সেমিপাকা দোকানঘর নির্মাণ করেন আমার পিতা। সে থেকে শুরু করে নিয়ম মাফিক স্কুলের সাথে ডিড ও ভাড়া প্রদান করে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। সর্বশেষ ২০১৮ সালে স্কুল কর্তৃপক্ষ থেকে লিখিত অনুমতি নিয়ে আগের দোকান ভেঙে নতুন দ্বিতল ভবন করার সিদ্ধান্ত হয়। পরে দোকান নির্মাণ কাজ শুরু করলে তৎকালীন আওয়ামী সন্ত্রাসীদের কাজে লাগিয়ে নির্মাণ সামগ্রী লুটপাট ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধন করে। এর ধারাবাহিকতা চলে দীর্ঘ ছয় বছর।’

অভিযোগ করে আরও বলেন, ‘একসাথে অনুমতি নেওয়া আরেক সাওদাগর বদরুজ্জমান কে দোকানঘর করতে সুযোগ দেয় ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক। এদিকে নাছির উদ্দিন প্রতিমাসে ডিডের শর্তানুসারে স্কুলের যাবতীয় ভাড়া পরিশোধ করলেও তাকে দোকানঘর পুনঃনির্মাণ করতে দেয়নি। বরং নাছির উদ্দিন থেকে উল্টো চাঁদা দাবী করে। চাঁদা দিতে অসমর্থ হলে ডিড বাতিলের হুমকিসহ বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করে।’

সরকার পতনের পর স্কুল পরিচালিত বাজারের দোকানগুলোর দায়িত্ব নেন জমির দাতা গোষ্টী ছনুয়া মনু মিয়াজী জমিদার পরিবার। অন্যান্য ব্যবসায়ীসহ নাছির উদ্দিনের সাথেও চুক্তি নবায়ন করে কাজের অনুমতি নেয়। রাজ মেস্ত্রি কাজ করতে গেলে স্কুলের প্রধান শিক্ষক জায়গা জবরদখলের মিথ্যা সংবাদ প্রচার করে গত বৃহস্পতিবার শিক্ষার্থীদের দিয়ে কাজে বাঁধা প্রদান ও ভাংচুর করে এবং মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি প্রদান করেন।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক জামাল  হোসেন বলেন, ‘যারা অভিযোগ এনেছে তাদের চুক্তির মেয়াদ শেষ। তারা স্কুল কর্তৃপক্ষ ছাড়া দ্বিতীয় কারো অনুমতি নিয়ে স্কুলের জায়গায় স্থাপনা নির্মাণ করতে পারে না। বদরুজ্জমান নামে ব্যবসায়ীর বিষয়টি ভিন্ন। সে চুক্তিভিক্তিক করেছে। নাছির উদ্দিনের সাথে যে চুক্তি ছিলো তার মেয়াদ শেষ হয়েছে। তাছাড়া স্কুলের জায়গায়  স্থাপনা নির্মাণ করার অনুমতি নেই। আমার বিরোদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ মিথ্যা।’

আরও খবর

Sponsered content