চট্টগ্রাম

আবারও কর্ণফুলীতে ফিরতে মরিয়া স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মনোয়ারা

  প্রতিনিধি ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ , ৪:০৩:৫২ প্রিন্ট সংস্করণ

আবারও কর্ণফুলীতে ফিরতে মরিয়া স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মনোয়ারা

দীর্ঘ পাঁচ বছর চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে কর্মরত থেকে শক্তিশালী ঘুষ-দুর্নীতির সিন্ডিকেট গড়ে তোলার অভিযোগের পর গত দুই মাস ১১ দিন আগে সিভিল সার্জনের স্ট্যান্ড রিলিজ আদেশে বদলি হওয়া বিতর্কিত স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মনোয়ারা বেগম আবারও মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে লবিং-তদবির চালিয়ে কর্ণফুলীতে ফিরতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।

স্বাস্থ্য সহকারী পদে থাকা সত্ত্বেও তিনি নিজ বেতনে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (স্যানিটারি) হিসেবে সিভিল সার্জন কার্যালয়ে সংযুক্ত থেকে বর্তমানে সপ্তাহের প্রতিদিন (সরকারি ছুটি ব্যতীত) দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
তথ্যমতে, এর আগে কর্ণফুলী উপজেলায় কর্মরত পাঁচ ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (তহসিলদার)কে স্ট্যান্ড রিলিজের মাধ্যমে বদলি করার পর নজিরবিহীনভাবে বহুল আলোচিত ও সমালোচিত ওই স্যানিটারি ইন্সপেক্টরকেও বদলি করা হয়। পুরো কর্ণফুলীতে তিনি দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা হিসেবে আলোচিত ছিলেন। সম্প্রতি তিনি আবারও কর্ণফুলী উপজেলায় পদায়নের জন্য বিভিন্ন পর্যায়ে মোটা অঙ্কের অর্থ লগ্নি করে লবিং তদবির চালাচ্ছেন বলে জানা গেছে।

সূত্র জানায়, কর্ণফুলীতে ফিরে আসতে তিনি একেক সময় একেকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি ও রাজনৈতিক নেতার দ্বারস্থ হচ্ছেন। কখনো মহানগর বিএনপির এক নেতার কাছে, কখনো জামায়াত নেতাদের কাছে সহায়তা চাইছেন।
এছাড়াও তার পক্ষে লবিং করছেন বহুল সমালোচিত একজন উপজেলা নির্বাহী অফিসার, এক ওসি তদন্ত এবং এস আলম গ্রুপের এক মুখপাত্র। এদের মাধ্যমে স্যানিটারি ইন্সপেক্টর চট্টগ্রামের সিভিল সার্জনের ওপরও চাপ প্রয়োগের চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে প্রচার রয়েছে।

এ প্রসঙ্গে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘কোনো দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাকে পুরনো কর্মস্থলে ফেরানো হবে না। যারা ঘুষ-দুর্নীতিতে জড়িত ছিলেন, তারা ছাত্রদের রক্তে অর্জিত নতুন বাংলাদেশে পুরনো স্টেশনে ফেরার সুযোগ পাবেন না এটা নিশ্চিত থাকুন।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘বিষয়টি সত্য। তিনি আবারও পুরোনো স্টেশনে ফেরার আবেদন করেছেন। তবে আমরা সাংবাদিকদের বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে বদলি (স্ট্যান্ড রিলিজ) করেছিলাম। সুতরাং, কর্ণফুলীতে তাঁর আর ফেরা হচ্ছে না।’

উল্লেখ্য, বহুল সমালোচিত স্যানিটারি ইন্সপেক্টরের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার বিভিন্ন ব্যবসায়িক স্পট থেকে চাঁদাবাজি, স্বাস্থ্য সনদ প্রদানের নামে অর্থ আদায়, অভিযান পরিচালনার আগে ম্যাজিস্ট্রেটের আগমণ সংক্রান্ত তথ্য হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ফাঁস করা এবং ব্যবসায়ীদের হয়রানি করার মতো অভিযোগ ছিলো।

আরও খবর

Sponsered content